এমপি আনার হত্যা: নেপালে আটক সিয়ামকে দেশে আনতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
কলকাতায় ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যার ঘটনায় অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত সিয়াম হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে ঢাকার একটি আদালত।
গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. মাহবুবুল হক এ আদেশ দেন।
গতকাল আদালতে আবেদন করেছিলেন ডিবির সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান।
আবেদনে বলা হয়, সিয়ামকে নেপালে আটক করা হয়েছে। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলে সিয়ামকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা সহজ হবে।
আদেশে ম্যাজিস্ট্রেট ইন্টারপোলের মাধ্যমে নেপাল পুলিশের কাছে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার একটি কপি পাঠানোর নির্দেশ দেন।
কলকাতার নিউটাউনের ফ্ল্যাটে এমপি আনারকে হত্যার পর সিয়াম নেপালে পালায় বলে পুলিশ জানায়।
তদন্তকারীরা বলছেন, ভোলার ছেলে সিয়াম এমপি হত্যা মিশন পরিচালনাকারী আমানউল্লাহ ওরফে শিমুল ভূঁইয়াকে সহযোগিতা করে।
সিয়াম এমপির মরদেহ কেটে টুকরো করেছে বলেও জানান তদন্তকারীরা।
গত ২৫ মে এক চিঠিতে ডিএমপির গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) এ বিষয়ে বাংলাদেশ পুলিশের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোর (এনসিবি) সহকারী মহাপরিদর্শককে অবহিত করে।
নেপালে সিয়ামের গ্রেপ্তার বা আটকের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো না হলেও, তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে বর্তমানে নেপালে অবস্থান করছেন ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদের নেতৃত্বে একটি দল।
গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়ে নিখোঁজ হন এমপি আনার। তার নিখোঁজের বিষয়টি পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হলে দুই দেশের পুলিশ এ নিয়ে তদন্ত শুরু করে।
পরে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের পুলিশ জানায়, এমপি আনারকে খুন করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড হিসেবে আনারের পুরোনো বন্ধু যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী আক্তারুজ্জামানকে শনাক্ত করে পুলিশ।
দুই দেশের পুলিশ জানায়, স্বর্ণ চোরাচালান নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে আক্তারুজ্জামান এমপি আনারকে হত্যার জন্য আমানউল্লাহকে ভাড়া করে।
Comments