কাভানির বিদায়ে আবেগাপ্লুত সুয়ারেজ

অনেক দিন থেকেই জাতীয় দলের বাইরে ছিলেন এদিসন কাভানি। কোপা আমেরিকার দলে থাকার সম্ভাবনাও ছিল খুব ক্ষীণ। তবে সব সম্ভাবনা পেছনে ঠেলে আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায়ই জানিয়ে দিয়েছেন উরুগুয়ের ৩৭ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড। আর তার বিদায়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছেন দীর্ঘ দিনের সতীর্থ লুইস সুয়ারেজ।

২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক হয় কাভানির। এরপর লম্বা সময়ে দেশের হয়ে খেলেছেন তিনি ১৩৬ ম্যাচ। গোল করেছেন ৫৮টি। দুটিতেই তিনি উরুগুয়ের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। কাতার বিশ্বকাপের পর জাতীয় দলে আর দেখা যায়নি তাকে। ২০১১ সালে উরুগুয়ের কোপা আমেরিকার শিরোপা জয়ের অন্যতম সদস্য ছিলেন এই ফরোয়ার্ড।

বছর খানেক আগে আন্তর্জাতিক অভিষেক হলেও বয়সে প্রায় সমবয়সী কাভানি ও সুয়ারেজ। জাতীয় দলে একত্রে খেলার সুবোধে ভালো বন্ধুও তারা। তাই সতীর্থের বিদায় বেলায় আবেগ লুকাতে পারেননি সুয়ারেজ, 'যখন আমরা একত্রে আমাদের প্রথম গোল উদযাপন করেছি, তখন আমরা কেবল দুটি শিশু যারা আমাদের দেশকে শীর্ষে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছিলাম... সেই শিশুরা বড় হয়েছে এবং আমাদের নির্বাচনকে সঠিক প্রমাণ করতে অনন্য এবং অপূরণীয় সব জিনিস অনুভব করেছে।'

'দুঃখ এবং আনন্দের সঙ্গে আমরা সবসময় একই লক্ষ্য চেয়েছিলাম: উরুগুয়ের জয় এবং পতাকাটি ভালোভাবে উপস্থাপন করতে পারা। আমাদের ফুটবল এবং দেশের ইতিহাসে তোমার নাম সর্বদা লেখা থাকবে। একজন উরুগুইয়ান হিসেবে কাভানি তোমাকে সবকিছুর জন্য ধন্যবাদ জানাই। দলের জন্য তুমি সবকিছু করেছ। আমি তোমাকে সবসময় শুভকামনা জানাই!' যোগ করেন সুয়ারেজ।

এর আগে সামাজিকমাধ্যমে বিদায়ের বার্তা দিয়ে কাভানি লিখেছিলেন, 'নিঃসন্দেহে মহামূল্য অনেক বছর কাটিয়েছি, হাজারও কথা বলার আছে, স্মৃতিচারণ করার আছে। তবে আজকের দিনটিতে আমি স্রেফ ক্যারিয়ারের নতুন অধ্যায়ে নিজেকে উৎসর্গ করতে চাই এবং যেখানে আমার থাকতে হবে, সেখানে সবটুকু উজাড় করে দিতে চাই।'

'আজকে আমি সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে হৃদয়ের গভীরে লালন করে সবসময়ই (দলকে) অনুসরণ করে যাব, এই সুন্দর এই জার্সি গায়ে চাপিয়ে মাঠে নামার দিনগুলোতে যেভাবে করেছি, ঠিক সেভাবেই,' বলেন কাভানি।

ক্লাব ফুটবলে অনেক ক্লাবে থাকলেও সবচেয়ে সফল ছিলে পিএসজিতে। প্যারিসে ৬টি ফরাসি লিগ ও ৫টি ফরাসি কাপসহ মোট ২১টি ট্রফি জিতেছেন তিনি। এছাড়া খেলেছেন পালের্মো, নাপোলি, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও ভ্যালেন্সিয়ায়। ২০২২ সালে ইউরোপিয়ান ফুটবলকে বিদায় বলে আর্জেন্টাইন ক্লাব বোকা জুনিয়র্সে যোগ দেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Political party consensus will determine speed of reforms, election

Chief Adviser Prof Muhammad Yunus has said that it is the political parties that will decide on the nature and extent of reforms, which in turn will determine how soon the election can be held.

3h ago