কৃষিতে স্মার্ট প্রযুক্তি ব্যবহারে উৎপাদনশীলতা ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি সম্ভব: ডিসিসিআই

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, ডিসিসিআই, আহসানুল ইসলাম টিটু,

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেন, কৃষি খাতে স্মার্ট প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে পণ্যের উৎপাদনশীলতা ২০-৩০ শতাংশ বৃদ্ধি করা যায়, একইসঙ্গে এ খাতে ব্যয় ২০ শতাংশ কমানোর পাশাপাশি কৃষকের আয় ৩০-৪০ শতাংশ বাড়ানো সম্ভব।

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত 'স্মার্ট এগ্রিকালচার; ভ্যালু চেইন উন্নয়নে চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা' শীর্ষক সেমিনার এ কথা বলেন তিনি।

তিনি উল্লেখ করেন, বর্তমানে এ খাতকে সাপ্লাইচেইনের অপর্যাপ্ততা, বাজারে পণ্য প্রবেশাধিকারের সুযোগ না থাকা ও উৎপাদিত পণ্যের মূল্য সংযোজনসহ অন্যান্য সমস্যার মুখোমুখী হতে হচ্ছে।

এ অবস্থা উত্তরণে কৃষি যন্ত্রপাতির আধুনিকায়ন ও কৃষকদের নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের সক্ষমতা বাড়ানো, কৃষি গবেষণা খাতে বিনিয়োগ বাড়ানো, প্রয়োজনীয় সহায়ক নীতিমালা প্রণয়ন ও কার্যকর ভ্যালু চেইন ব্যবস্থার প্রবর্তন ও বাস্তবায়নের ওপর জোরারোপ করেন ডিসিসিআই সভাপতি।

কৃষিখাতের সার্বিক উন্নয়নে আমাদের লজিস্টিক চেইন এবং মার্কেট চেইন ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, 'আমদানি-রপ্তানিকারকদের সুবিধার্থে খুব শিগগিরই ঢাকা চেম্বারের একটি পুর্নাঙ্গ হেল্পডেস্ক স্থাপন করা হবে, যেখান থেকে 'আইআরসি' এবং 'ইআরসি' সার্টিফিকেট পাওয়ার সব সুবিধা প্রদান করা হবে।'

তিনি জানান, এবছরের শেষ নাগাদ 'যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মগুলোর পরিদপ্তরের (আরজেএসসি) সেবার সব কার্যক্রম পেপারলেস করা  হবে, ফলে ব্যবসায়ীদের ভোগান্তি কমবে।

'স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট এগ্রিকালচারের কোনো বিকল্প নেই এবং পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে কার্যকর ভ্যালু চেইনের গুরুত্ব অপরিসীম। কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্যের দাম পাচ্ছে না, অপরদিকে ভোক্তারা বেশি দামে পণ্য ক্রয় করছে, মধ্যস্বত্তভোগীরা মুনাফা করছে, তাদের দৌরাত্ম কমাতে হবে,' বলেন তিনি।

দেশের কোন জায়গায় তুলনামূলক কম মূল্যে পণ্য পাওয়া যাচ্ছে- এ ধরনের তথ্য পেতে একটি প্ল্যাটফর্ম করতে তথ্য-প্রযুক্তিবিদদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি মালিক তালহা ইসমাইল বারী বলেন, 'সাম্প্রতি সময়ে আমাদের কৃষিখাতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে, তবে জলবায়ুন পরিবর্তনজনিত কারণে অনাকাঙ্খিত প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে এ খাত প্রায়শই বিপুল ক্ষতির মুখোমুখী হয়, সেই সঙ্গে প্রচলিত কৃষি পদ্ধতি ব্যবহারের কারণেও উৎপাদন কমে যায়। এ অবস্থায় আমাদেরকে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের স্মার্ট এগ্রিকালচার প্রাক্টিসের ওপর আরও বেশি হারে গুরুত্বারোপ করতে হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Work begins to restore Dhaka’s waterways

Criticism on social media as advisers inaugurate work by walking down a red-carpeted pathway

13m ago