হোয়াইটওয়াশ এড়াতে বাংলাদেশের চাই ১০৫ রান
দুই ওপেনারের সৌজন্যে শুরুটা দারুণ করেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তবে শুরুতে এলোমেলো থাকলেও ঘুরে দাঁড়ায় টাইগার বোলাররা। বিশেষকরে পেসার মোস্তাফিজুর রহমান করলেন আগুন ঝরানো বোলিং। তার আগুনে পুড়ল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তাতে লক্ষ্যটা হাতের নাগালেই রাখতে পেরেছে বাংলাদেশ দল।
শনিবার হিউস্টনের প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রকে ৯ উইকেটে ১০৪ রানে আটকে দিয়েছে টাইগাররা। অর্থাৎ জিততে হলে ১০৫ রান করতে হবে নাজমুল হোসেন শান্তর দলকে। মূলত মোস্তাফিজের তোপে যুক্তরাষ্ট্রকে একশর কাছেই আটকে দেয় দলটি। ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করে ৪ ওভার বল করে মাত্র ১০ রান খরচ করে ৬টি উইকেট তুলে নেন মোস্তাফিজ।
এদিন টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দুই ওপেনার শায়ান জাহাঙ্গীর ও আন্দ্রেয়াস গাউসের জুটিতে আসে ৪৬ রান। তখন বড় পুঁজির স্বপ্নই দেখছিল দলটি। এ জুটি ভাঙেন সাকিব হাসান। সৌম্য সরকারের তালুবন্দি করে ফেরান গাউসকে। তাতে ইতিহাসের পাতায়ও নাম উঠে যায় সাকিবের। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৭০০ উইকেট নেন এই অলরাউন্ডার। সবমিলিয়ে সাড়া বিশ্বে মাত্র ১৭ জন বোলার এই কীর্তি গড়তে পেরেছেন।
পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে বল হাতে নিয়ে আরেক ওপেনার জাহাঙ্গীরকে ফেরান মোস্তাফিজুর রহমান। দশম ওভারে ফিরে নিতিশ কুমারকে ফিরিয়ে নিজের দ্বিতীয় শিকার ধরেন এই পেসার। তাতে দারুণভাবে ম্যাচে ফিরে আসে বাংলাদেশ। মোস্তাফিজের সঙ্গে জ্বলে ওঠেন বাকি বোলাররাও। অধিনায়ক অ্যারন জোন্সকে ছাঁটাই করেন তানজিম হাসান সাকিব। আর মিলিন্দ কুমারের উইকেট তুলে নেন রিশাদ হোসেন। ফলে দলীয় পুঁজি ৬০ রান হতেই পাঁচ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।
এরপর শ্যাডলি ভ্যান শাল্কউইককে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন কোরি অ্যান্ডারসন। ৩২ রানের জুটিও গড়েন এ দুই ব্যাটার। তাতে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল স্বাগতিকরা। ১৮তম ওভারে বল করতে এসে এ দুই ব্যাটারকেই ফেরান মোস্তাফিজ। দুইজনকেই বোল্ড করে দেন তিনি। শেষ ওভারে জাসদিপ সিংকে বোল্ড করে নিজের ফাইফার পূরণ করেন কাটার মাস্টার। পরে নিসর্গ প্যাটেলকেও তুলে নেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৭ রান করেন গাউস। ১৫ বলে ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় এই রান করেন তিনি। এছাড়া জাহাঙ্গীর ১৮, অ্যান্ডারসন ১৮ ও শাল্কউইক ১২ রান করেন। স্বাগতিকদের হয়ে এই চার ব্যাটারই দুই অঙ্ক স্পর্শ করতে পেরেছেন।
Comments