ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে গভীর নিম্নচাপ, বাড়ল সংকেত

ঘূর্ণিঝড়
স্যাটেলাইট ইমেজ

পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আজ শনিবার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত নামিয়ে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে সাত নম্বর এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ছয় নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়টির নাম দেওয়া হয়েছে 'রিমাল'। নামটি প্রস্তাব করেছে ওমান। আরবিতে এর অর্থ 'বালি'।

আবহাওয়াবিদদের মতে, খেপুপাড়া ও পশ্চিমবঙ্গে সাগর আইল্যান্ড ঘেঁষে ঝড়টি স্থলভাগ অতিক্রম করবে। ঝড়টি আঘাত হানার সময় বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১১০ থেকে ১১৮ কিলোমিটার থাকতে পারে। এর সঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাত ও জলোচ্ছ্বাস থাকবে। খুলনা ও সুন্দরবন থেকে শুরু চট্টগ্রাম পর্যন্ত উপকূলীয় সব জেলায় ঝড়ের প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

প্রসঙ্গত, ঘূর্ণিঝড়ে বাতাসের গতিবেগ থাকে প্রতি ঘণ্টায় ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার। বাতাসের গতি ৮৯ থেকে ১১৮ কিলোমিটার থাকলে প্রবল, ১১৯ থেকে ২১৯ পর্যন্ত অতি প্রবল এবং বাতাসের গতি প্রতি ঘণ্টায় ২২০ কিলোমিটারের বেশি থাকলে সুপার সাইক্লোন বিবেচনা করা হয়ে থাকে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঝড়ের গতি পরিবর্তন না হলে রোববার দুপুরে রিমালের অগ্রভাগ উপকূলে আঘাত হানবে এবং সন্ধ্যা নাগাদ মূল ঝড় স্থলভাগ অতিক্রম শুরু করবে।

আবহাওয়াবিদদের মতে, ঝড়ের প্রভাব বাংলাদেশ অংশে বেশি থাকতে পারে। ২০০৯ সালের ২৫ মে একই পথ দিয়ে ঘূর্ণিঝড় আইলা স্থলভাগ অতিক্রম করেছিল।

ঝড়ের অগ্রভাগ থেকে কিছু মেঘ উড়ে এসে ইতোমধ্যে উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টি ঝরাতে শুরু করেছে।

অধিদপ্তরের হিসাবে, এদিন রাত ৯টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টায় রাঙ্গামাটিতে ২৭, পতেঙ্গায় ২৫, সীতাকুণ্ডে ২২, মনপুরায় ২০, কুতুবদিয়ায় ১৮, বান্দরবানে ১৪ চট্টগ্রামে তিন ও শ্রীমঙ্গলে দুই মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।

পূর্বাভাস অনুসারে, রিমালের প্রভাবে সারা দেশেই বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে রোববার দিন ও রাতের তাপমাত্রা দুই থেকে চার ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমে যেতে পারে।

 

Comments

The Daily Star  | English

The end of exemption?

TRIPS waiver end poses dual challenge: legal and technological

20h ago