টার্বুলেন্সে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসে যাত্রীর মৃত্যু, ব্যাংককে জরুরি অবতরণ
মাঝ আকাশে ভয়াবহ টার্বুলেন্সের কারণে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটের এক যাত্রী মারা গেছেন এবং অন্তত ৩০ যাত্রী আহত হয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানায়, লন্ডন থেকে ছেড়ে আসা ফ্লাইটটি পরে ব্যাংককে জরুরি অবতরণ করে।
যাত্রীরা কখন আঘাত পেয়েছেন তা অবশ্য নিশ্চিত করেনি সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস।
তবে এক যাত্রী রয়টার্সকে বলেছেন, মাঝ আকাশে টার্বুলেন্সের সময় সিটবেল্ট পরেননি এমন যাত্রীরা ছিটকে ওভারহেড কেবিনে আঘাত পান।
থাই মিডিয়ার প্রতিবেদনে ৩০ যাত্রী আহত হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে। যদিও সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস আহতদের সংখ্যা নির্দিষ্ট করে জানায়নি।
এক বিবৃতিতে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস জানায়, ২১১ যাত্রী ও ১৮ ক্রু নিয়ে বোয়িং ৭৭৭-৩০০আর উড়োজাহাজটি সিঙ্গাপুরের দিকে যাচ্ছিল।
ফ্লাইটরাডার ২৪ এর তথ্য অনুযায়ী, লন্ডন থেকে উড্ডয়নের প্রায় ১১ ঘণ্টা পর ফ্লাইটটি আন্দামান সাগর পাড়ি দিয়ে মাত্র পাঁচ মিনিটের মধ্যে ৩৭ হাজার ফুট উচ্চতা থেকে ৩১ ফুটে নেমে আসে এবং থাইল্যান্ডের কাছাকাছি পৌঁছায়।
ফ্লাইটের যাত্রী জাফরান আজমির (২৮) রয়টার্সকে বলেন, 'হঠাৎ উড়োজাহাজটি কাত হতে শুরু করে এবং কাঁপতে শুরু করে। হঠাৎ দ্রুত উড়োজাহাজটি চোখের পলকে নেমে যায়। তাই সবাই ভয়ে বসে পড়ে। যারা সিটবেল্ট পরা ছিলেন না, তারা মুহূর্তেই ছিটকে উড়োজাহাজের ছাদের সঙ্গে ধাক্কা খান।'
'উপরের কেবিনে থাকা ব্যাগেজের সঙ্গে অনেকের মাথা আঘাত লাগে,' বলেন তিনি।
ব্যাংককের সুবর্ণভূমি বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা একজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করলেও আহতের সংখ্যা নিশ্চিত করতে পারেননি।
মার্কিন ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ডের ২০২১ সালের সমীক্ষা অনুসারে, এয়ারলাইনসের ক্ষেত্রে টার্বুলেন্স-সম্পর্কিত দুর্ঘটনা বেশ সাধারণ দুর্ঘটনা।
বাতাসের চাপ ও গতির তারতম্যের কারণে মাঝ আকাশে উড়োজাহাজে টার্বুলেন্সের ঘটনা ঘটে। টার্বুলেন্সের কারণে উড়োজাহাজে প্রচণ্ড ঝাঁকুনির সৃষ্টি হয়।
২০০৯ সাল থেকে ২০১৮ পর্যন্ত সেফটি বোর্ড দেখেছে, উড়োজাহাজ দুর্ঘটনার এক তৃতীয়াংশের বেশি টার্বুলেন্সের কারণে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এক বা একাধিক যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন। তবে উড়োজাহাজের তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি।
বিশ্বের অন্যতম প্রধান ও জনপ্রিয় এয়ারলাইনস সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস সম্প্রতি বড় কোনো দুর্ঘটনায় পড়েনি।
Comments