পোপের আমন্ত্রণে ভ্যাটিকান সিটিতে ভ্রাতৃত্ব বিষয়ক সম্মেলনে ড. ইউনূস

ভ্যাটিকান সিটির সেন্ট পিটারস ব্যাসিলিকায় অনুষ্ঠিত মানব ভ্রাতৃত্বের বিশ্ব সভার দ্বিতীয় সংস্করণের অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে পোপ ফ্রান্সিস। তার ডানদিকে ভ্যাটিকান স্টেটের ভিকার জেনারেল কার্ডিনাল গাম্বেটি এবং বাঁদিকে দ্য এল্ডার্স-এর ভাইস-চেয়ার-পার্সন (দক্ষিণ আফ্রিকার নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার স্ত্রী) গ্রাসা ম্যাচেল এবং প্রফেসর ইউনূস। ছবি সৌজন্য: ইউনূস সেন্টার

মানব ভ্রাতৃত্বের জন্য বিশ্ব সভা অনুষ্ঠিত হলো ভ্যাটিকান সিটিতে। পোপ ফ্রান্সিসের আমন্ত্রণে এই সভায় যোগ দিয়েছিলেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সম্মেলনে বিজ্ঞানী, অর্থনীতিবিদ, মেয়র, ডাক্তার, ব্যবস্থাপক, ক্রীড়াবিদ এবং সাধারণ নাগরিকের সঙ্গে নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী ৩০ জন অংশ নেন।

১০-১১ মে অনুষ্ঠিত এই সভায় দুটি গুরুত্বপূর্ণ অধিবেশনের একটিতে সভাপতিত্ব করেন ড. ইউনূস। পরিবেশ, শিক্ষা, ব্যবসা, কৃষি, মিডিয়া এবং স্বাস্থ্যে মানব ভ্রাতৃত্বের প্রচারের উপায় নিয়ে সেখানে আলোচনা হয়।

গোলটেবিল আলোচনার সূচনা করে ভ্যাটিকানের সেক্রেটারি অব স্টেট কার্ডিনাল পিয়েত্রো প্যারোলিন বলেন, 'মানুষ যখন শান্তিকে অসম্মান করে এবং যুদ্ধে জড়ায়, তখন তারা সৃষ্টির বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। মানুষকে হত্যা করে তারা কেবল অন্যদের মর্যাদাকে আঘাত করে না বরং নিজেদের সম্মানহানি ঘটায়।'

গোলটেবিল বৈঠক থেকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণায় গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি, হত্যা বন্ধ এবং মানবিক সহায়তার প্রবেশ নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়।

ঘোষণায় উল্লেখ করা হয়, 'আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন—দুই রাষ্ট্র সমাধানের পাশাপাশি জেরুজালেম শহরের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে নির্ধারিত নিয়ম অনুসরণ করার আহ্বান জানাচ্ছি যাতে ইসরায়েলি এবং ফিলিস্তিনিরা শান্তি এবং নিরাপত্তার সঙ্গে বসবাস করতে পারে।'

ড. ইউনূস শূন্য বৈশ্বিক উষ্ণায়ন, শূন্য সম্পদ কেন্দ্রীকরণ ও শূন্য বেকারত্বভিত্তিক 'তিন শূন্য'র একটি নতুন সভ্যতা গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এটা আমাদের করতে হবে আমাদের অর্থনৈতিক কাঠামোতে সামাজিক ব্যবসার ধারণা এবং অনুশীলনকে দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করার মাধ্যমে।

নাসার প্রশাসক এবং ফ্লোরিডার প্রাক্তন ডেমোক্র্যাটিক সিনেটর নভোচারী বিল নেলসন বলেন, 'আমি মহাশূন্য থেকে জাতিগত বিভাজন দেখিনি, আমি ধর্মীয় বিভাজন দেখিনি এবং আমি রাজনৈতিক বিভাজন দেখিনি। আমি যা দেখেছি তা হল পৃথিবীর নাগরিক হিসাবে আমরা সবাই এখানে একসাথে আছি।'

গুয়াতেমালান আদিবাসী মানবাধিকার কর্মী এবং ১৯৯২ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী রিগোবার্তা মেঞ্চু তুম বর্তমান সমাজের বস্তুগত, সামাজিক এবং আধ্যাত্মিক অবক্ষয় সম্পর্কে বলেন, 'সম্পূর্ণ মানুষ হওয়ার জন্য আমাদের আত্মাকে লালন করার মতো মানুষের প্রয়োজন।'

Comments

The Daily Star  | English

‘No room for politics under AL name, ideology’

Nahid Islam, adviser to the interim government, spoke with The Daily Star on the nation's key challenges and the way forward.

14h ago