সাইফুদ্দিনের বদলে তানজিমকে নেওয়ার ব্যাখ্যা দিলেন প্রধান নির্বাচক

Mohammad Saifuddin & Tanzim Hasan Sakib

১ মে আইসিসির কাছে যে দল পাঠানো হয়েছিলো তাতে নাম ছিলো মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের। কিন্তু জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রত্যাশিত পারফর্ম না করায় চূড়ান্ত দলে ঠাঁই হয়নি তার। তার জায়গায় বেছে নেওয়া হয়েছে তানজিম হাসান সাকিবকে, যিনি নিজেও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সুযোগ পেয়ে খুব একটা ভালো করেননি।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৪ ম্যাচ খেলে ওভারপ্রতি ৯.৩১ করে রান দিয়ে ৮ উইকেট নেন সাইফুদ্দিন। চট্টগ্রামে প্রথম ম্যাচে ১৫ রানে ৩ উইকেট নিয়ে শুরু করেছিলেন। পরের ম্যাচে ৩৭ রান দিয়ে ১ উইকেট। এরপরের ম্যাচেও ৩ উইকেট নেন, তবে দিয়ে দেন ৪২ রান। শেষ ম্যাচে তার ৪ ওভার থেকে খসে যায় ৫৫ রান। 

অন্য দিকে এই সিরিজে দুই ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়ে ভালো-মন্দ মেশানো ছিলো তানজিমের পারফরম্যান্স। এক ম্যাচে ২৬ রানে ১ উইকেট নিলেও পরের ম্যাচে ৪২ রান খরচায় ছিলেন উইকেটশূন্য।

স্কোয়াডের তিন পেসার তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমানকে নিয়ে কোন সংশয় ছিলো না। লড়াই ছিলো সাইফুদ্দিন আর তানজিমের। দুই ডানহাতি পেসারের অবস্থান কাছাকাছি দেখলেও তানজিমকে এগিয়ে রাখার ব্যাখ্যা দেন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু,  'এখানে সবাই খুব কাছাকাছি। যে দলটা দিয়েছিলাম ৩০ তারিখে,  সেটা এক প্রেক্ষাপটে দিয়েছিলাম। সেখানে দুটো চিন্তা ছিল যে বর্তমান ক্রিকেটারদের নিয়েই দল করা। আর একটা চিন্তা ছিল ইনজুরি থেকে ফেরা ক্রিকেটাররা যেমন সাইফউদ্দিন কেমন করে তা দেখা। আমাদের যে আস্থার জায়গাটা  সেখানে সাইফউদ্দিনের চেয়ে তানজিম একটু এগিয়ে ছিল এজন্য ওকে আমরা দেলে রেখেছি। কিন্তু খুব কাছাকাছি ছিলো।' 

কেন আস্থার জায়গা সাইফুদ্দিন হারিয়েছেন সেটা ব্যাখ্যা দিতে দিয়ে ডেথ ওভারে ইয়র্কার কম করার ঘাটতি কথা বলেন তিনি, সেই সঙ্গে সামর্থ্য বিচারে তানজিমের চেষ্টা নির্বাচকদের মনে ধরেছে,   'তানজিম সাকিবকে শ্রীলঙ্কা সিরিজেও আমরা দেখেছি। তার একাগ্রতা, মাঠে দেয়ার চেষ্টা সেটা সাইফউদ্দিনের চেয়ে কিছুটা এগিয়ে রেখেছে। আমরা যে কারণে সাইফউদ্দিনের দিকে তাকিয়ে ছিলাম যে ডেথ ওভারে ইয়র্কার করা, সেটা কম পরিলক্ষিত হয়েছে।  ঘরোয়া ক্রিকেটে যেমন ছিল তার চেয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একটু তফাৎ হয়েছে। তাই আমরা একটু ভিন্ন চিন্তা করেছি। না হলে তিনি আমাদের ভাবনায় ছিলেন।  ৩০ তারিখে যে দলটা দিয়েছিলাম সেখান থেকে একমাত্র এ জায়গাটাতেই পরিবর্তন হয়েছে। আমাদের আসলে সাইফউদ্দিন ও সাকিবের মধ্যেই লড়াই চলছিল।'

প্রধান নির্বাচক জানান, স্কোয়াডের বাকি জায়গা নিয়ে আলাপ দীর্ঘ না হলেও এই একটি জায়গায় লম্বা আলোচনা করতে হয়েছে তাদের। শেষ পর্যন্ত কাটা পড়েছে সাইফুদ্দিনের নাম।

Comments

The Daily Star  | English

Israeli military says attacking military infrastructure in Tehran, Western Iran

JD Vance says US at war with Iran's nuclear programme, not Iran

16h ago