ব্ল্যাক রিইউনিয়ন কনসার্টে উপচে পড়া ভিড়, অব্যবস্থাপনা-বিশৃঙ্খলায় ক্ষোভ

‘রেজারেকশন অব ব্ল্যাক’ কনসার্ট। ছবি: স্টার

গতকাল ঢাকায় আয়োজিত হলো 'রক অ্যান্ড রিদম ৪.০'। অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ছিল শূন্য দশকের ব্যান্ড 'ব্ল্যাক'। ২০ বছর পর এক হয়ে মঞ্চ দাঁড়িয়ে মঞ্চ মাতালেন ব্যান্ডের দলছুট সদস্যরা। শ্রোতাদের মন থেকে হারিয়ে যায়নি ব্ল্যাক। সেই কারণে ব্যান্ডটির সব সদস্যদের একসঙ্গে পারফর্ম দেখার আগ্রহ ছিল শ্রোতাদের।

গতকাল শুক্রবার রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা (আইসিসিবি)-এর এক্সপো জোনে কনসার্টটি আয়োজিত হয়। এতে পারফর্ম করেন ওয়ারফেইজের সাবেক লিড গিটারিস্ট অনি হাসান, ক্রিপটিক ফেইট, পপে, রিকল, ওল্ড স্কুল ও ফারুক ভাই প্রোজেক্ট।

পুরোনো লাইন আপে দর্শক মাতিয়েছে ব্ল্যাক। ছবি: স্টার

তবে কনসার্টের মূল আকর্ষণ ছিল ওয়ারফেইজের সাবেক লিড গিটারিস্ট অনি হাসান ও ব্ল্যাক। প্রায় দুই দশক পর মঞ্চে একসঙ্গে গাইলেন তাহসান, জন, জাহান, টনি। গানে গানে মুগ্ধ করলেন শ্রোতাদের। পুরনো লাইনআপে স্মৃতি জাগানিয়া এক কনসার্ট দেখলো ঢাকার সংগীতপ্রেমীরা।

বিশৃঙ্খলা, অব্যবস্থাপনা নিয়ে দর্শকদের ক্ষোভ

'রক অ্যান্ড রিদম ৪.০: রেজারেকশন অব ব্ল্যাক' কনসার্টটি আয়োজন করেছে এডভেন্টর কমিউনিকেশনস।

ব্ল্যাক কনসার্টে উপচে পড়া দর্শক। ছবি: আদনান মুকিত

তবে কনসার্টে অব্যবস্থাপনা ও বিশৃঙ্খলা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ জানিয়েছেন অনেকে। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, টিকিট ছাড়াই শত শত দর্শক ভেন্যুতে ঢুকে পড়েন। ধারণক্ষমতার বেশি দর্শক ঢুকে পড়ায় নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছিল।

কনসার্টের ভেন্যুতে মারামারির ঘটনাও ঘটেছে বলে জানিয়েছেন একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী।

কনসার্টটিতে দুই ধরনের টিকেটের ব্যবস্থা ছিল—ফ্রন্ট (সামনের সারি) ও সাধারণ। সামনের সারির টিকেটের দাম ছিল আড়াই হাজার টাকা ও পেছনের সারির টিকেটের দাম ছিল এক হাজার টাকা। যারা পেছনের সারির টিকেট কেটে কনসার্টে গিয়েছেন তাদের অধিকাংশই বিশৃঙ্খলার কারণে গান উপভোগ করতে পারেননি বলে ক্ষোভ জানিয়েছেন। টিকেট ছাড়াই অনেকে কনসার্টে ঢুকে পড়ায় নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন।

কনসার্টে দর্শকের ভিড়। ছবি: স্টার

কনসার্টের সাউন্ড সিস্টেম আরও ভালো হতে পারতো ও পেছনের সারির দর্শকদের জন্য আরও একটি স্ক্রিন রাখা যেতে পারতো বলে মন্তব্য করেছেন একাধিক দর্শক।

Comments

The Daily Star  | English
government decision to abolish DSA

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

13h ago