লাইন্সম্যান ভুল স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন, দাবি ডি লিখটের

ছবি: এএফপি

তখন খেলার শেষ বাঁশি বাজার অপেক্ষা। ২-১ গোলে পিছিয়ে থাকা বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে বল জালে পাঠান মাটাইস ডি লিখট। কিন্তু আগেই লাইন্সম্যানের অফসাইডের পতাকা উঠে যায়, বেজে যায় রেফারির বাঁশি। ফলে দেওয়া হয়নি গোল। সিদ্ধান্তটি নিয়ে মাঠে সেসময় ছড়ায় প্রবল উত্তাপ। ম্যাচশেষে ডাচ ডিফেন্ডার ডি লিখট দাবি করেন, তার কাছে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন লাইন্সম্যান।

বুধবার রাতে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নাটকীয় সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে বায়ার্নের বিপক্ষে ২-১ গোলে জিতেছে রিয়াল মাদ্রিদ। দুই লেগ মিলিয়ে ৪-৩ গোলের অগ্রগামিতায় ফাইনাল নিশ্চিত করেছে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা। ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক মানুয়েল নয়্যারের ভুল ও বদলি ফরোয়ার্ড হোসেলুর নৈপুণ্যে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনের আরেকটি স্মরণীয় গল্প লিখেছে তারা। অথচ আলফোনসো ডেভিসের গোলে ম্যাচের ৮৮তম মিনিট পর্যন্ত এগিয়ে ছিল বায়ার্ন।

৮১তম মিনিটে বদলি হিসেবে নামা স্প্যানিশ স্ট্রাইকার হোসেলু তিন মিনিটের মধ্যে করেন জোড়া গোল। এতে হারের শঙ্কা এড়িয়ে রোমাঞ্চকর কায়দায় ঘুরে দাঁড়ায় রিয়াল। এরপর বায়ার্ন যখন সমতায় ফিরতে মরিয়া ছিল, তখনই ঘটে অফসাইডের ওই ঘটনা। ডি লিখট বল জালে জড়ানোর আগেই লাইন্সম্যানের পতাকা ওঠায় ও রেফারি বাঁশি বাজানোয় অবশ্য খেলা থামিয়ে দেন রিয়ালের ফুটবলাররা। ফলে শট নিতে তেমন কোনো বাধা পাননি ডি লিখট।

গোলের আগেই বাঁশি বেজে যাওয়ায় সেটি অফসাইড ছিল কিনা, তা পরীক্ষা করে দেখার এখতিয়ার ছিল না ভিএআরের। বায়ার্নের খেলোয়াড়দের তীব্র প্রতিবাদে তাই কোনো কাজ হয়নি। টেলিভিশন রিপ্লে দেখে অবশ্য অফসাইডের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

ম্যাচের পর রেফারি ও লাইন্সম্যানের সমালোচনায় মুখর হন ডি লিখট। তার মতে, দুই দলের ক্ষেত্রে একইরকম ঘটনায় সিদ্ধান্ত ছিল আলাদা। তিনি বলেন, 'লাইন্সম্যান আমাকে বলছে, "আমি দুঃখিত। আমি ভুল করেছি।"'

'নিয়মটা আমরা সবাই জানি এবং এটা পরিষ্কার যে, নিশ্চিত অফসাইড না হলে খেলা চলতে থাকবে। এটাই নিয়ম! জঘন্য একটা সিদ্ধান্ত ছিল। হোসেলু যে গোল করল, সেটাও তো প্রায় অফসাইড ছিল, কিন্তু তারা খেলা চালিয়ে যেতে দিয়েছে। তাহলে আমাদেরকে কেন দেয়নি?'

যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে হোসেলুর গোলে এগিয়ে যায় রিয়াল। প্রথমে অফসাইডের কারণে বাতিল হলেও ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর) প্রযুক্তির সাহায্য নিলে দেখা যায়, সেটি অফসাইড ছিল না। তাই পরে গোলটি টিকে যায়। তবে ডি লিখটের গোলের আগে অফসাইডের পতাকা ওঠালেও হোসেলুর গোলটির সময় লাইন্সম্যান খেলা চালিয়ে যান।

Comments

The Daily Star  | English

Hasina’s final days before the fall

A desire to cling to power, intolerance for dissent and failure to see the writing on the wall were what eventually unravel Sheikh Hasina’s iron-fisted rule of 15 years.

7h ago