ক্যারিয়ারসেরা ইনিংসে জাকির হাঁকালেন ১২ ছক্কা, মোসাদ্দেক ১০ ছক্কা

ছবি: সংগৃহীত

শুরুতে আভাস না থাকলেও সেঞ্চুরির পর উত্তাল হয়ে উঠল জাকির হাসানের ব্যাট। তিন অঙ্কে পৌঁছানোর আগে ৬ ছক্কা হাঁকানো বাঁহাতি ব্যাটার পরে মারলেন আরও ৬ ছক্কা। জাকিরের তাণ্ডবের দিনে অধিনায়কোচিত ইনিংসে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতও খরা কাটিয়ে পেলেন শতরান।

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে শুক্রবার সাভারের বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে ১৫৮ রান করেন জাকির। শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে ঝড় তুলে ১৩২ বল মোকাবিলায় ৮ চার ও ১২ ছক্কা হাঁকান তিনি। দিনের আরেক ম্যাচে ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে আবাহনী লিমিটেডের পক্ষে ১৩৩ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন মোসাদ্দেক। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে ১০১ বল খেলে ৮ চারের সঙ্গে ১০ ছক্কা মারেন তিনি।

লিস্ট 'এ' ক্রিকেটে দুজনেরই এটি চতুর্থ সেঞ্চুরি, দুজনেরই ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস। মোসাদ্দেক অবশ্য সেঞ্চুরির স্বাদ পেলেন দীর্ঘ পাঁচ বছর পর। ২০১৯ সালের এপ্রিলে আবাহনীর হয়ে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের বিপক্ষে সবশেষ সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি।

ওপেনার তামিম ইকবাল ১২ বলে ২ রান করে বিদায় নেওয়ার পর চতুর্থ ওভারে ক্রিজে যান জাকির। প্রাইম ব্যাংকের অধিনায়ক লম্বা সময় পর্যন্ত প্রায় বলপ্রতি রান করে এগোতে থাকেন। ৫৬ বলে হাফসেঞ্চুরি স্পর্শ করে তিনি সেঞ্চুরিতে পৌঁছান ১০৬ বলে। এরপর শুরু হয় একের পর এক ছক্কা হাঁকিয়ে বল সীমানার বাইরে আছড়ে ফেলা। দেড়শতে যেতে তাই বেশি সময় লাগেনি জাকিরের। এই পঞ্চাশ পূরণ করতে তিনি খেলেন স্রেফ ২২ বল।

শেষমেশ প্রাইম ব্যাংক ৭ উইকেটে পায় ৩৪১ রানের বড় পুঁজি। ৪৯তম ওভারে জাকির আউট হন আকবর আলীর বলে। লিস্ট 'এ' ক্রিকেটে কোনো ইনিংসে বাংলাদেশের হয়ে তার চেয়ে বেশি ছক্কা আছে কেবল সৌম্য সরকারের। ২০১৯ সালের প্রিমিয়ার লিগে আবাহনীর হয়ে শেখ জামালের বিপক্ষে ২০৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলার পথে সৌম্য হাঁকিয়েছিলেন ১৬ ছক্কা।

তারকা ক্রিকেটাররা বাংলাদেশ জাতীয় দলে যোগ দেওয়ায় এক ঝাঁক নতুন মুখ নিয়ে একাদশ গড়তে হয়েছে আবাহনীকে। তাদের অনুপস্থিতিতে কাঁধে থাকা বাড়তি দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেন মোসাদ্দেক। দ্বাদশ ওভারে ক্রিজে যাওয়ার পর তিনি টিকে ছিলেন ৪১তম ওভার পর্যন্ত। সেঞ্চুরির আগে ইঙ্গিত না দিলেও পরে আগ্রাসী হয়ে ওঠেন তিনি। ছক্কা মেরে ৯২ বলে সেঞ্চুরি পাওয়ার পর অল্প সময়ের মধ্যে আরও ৪ ছক্কা আসে তার ব্যাট থেকে।

রুবেল মিয়ার বলে নাসুম আহমেদের তালুবন্দি হয়ে থামতে হয় মোসাদ্দেককে। এরপর আবাহনীর আর কেউ ব্যাট হাতে ভূমিকা রাখতে পারেননি। মোসাদ্দেকের আগে ঝড় তুলেছিলেন ওপেনার সাব্বির হোসেন। ৭৮ বলে ৭ চার ও ৬ ছক্কায় তিনি করেন ৯১ রান। স্রেফ ১৬ রানে শেষ ৬ উইকেট হারানো আবাহনী ৩২ বল বাকি থাকতে অলআউট হয় ৩০৩ রানে।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

1h ago