চট্টগ্রামে কাল থেকে ৪৮ ঘণ্টা পরিবহন ধর্মঘটের ডাক

চট্টগ্রাম
আন্দোলনরত চুয়েট শিক্ষার্থীরা তাদের কাছে জব্দ থাকা বাসে আগুন ধরিয়ে দেন। ছবি: স্টার

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) শিক্ষার্থীদের দেওয়া আগুনে পুড়ে যাওয়া বাসের ক্ষতিপূরণ এবং বাসে অগ্নিসংযোগকারীদের গ্রেপ্তারসহ চার দফা দাবিতে চট্টগ্রামে ৪৮ ঘণ্টা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন গণপরিবহন মালিক-শ্রমিকরা।

চট্টগ্রামজুড়ে আগামীকাল রোববার ভোর ৬টা থেকে পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়ে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা চলবে।

আজ শনিবার বৃহত্তর চট্টগ্রাম গণপরিবহন মালিক ও শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভায় ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক মঞ্জুর আলম চৌধুরী বলেন, 'আমরা নিরাপত্তাহীন বোধ করছি। তাই পরিবহন সেক্টর এবং এর মালিক-শ্রমিকদের বৃহত্তর স্বার্থে চট্টগ্রামে ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। এরপরও আমাদের দাবি পূরণ না হলে আগামী ১ মে থেকে সারাদেশে কঠোর আন্দোলনে নামব।'

হাটহাজারী পৌরসভার প্রশাসক মঞ্জুর বলেন, 'আমরা সরকারকে বিব্রত করতে চাই না, তবে আমাদের অন্য কোনো উপায় নেই। অনুগ্রহ করে গাড়ি চালানোর সময় পরিবহন শ্রমিকদের হয়রানিকারী উচ্ছৃঙ্খল ছাত্রদের আইনের আওতায় আসুন। আমরা সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি। আইন সবার জন্য সমান।'

তাদের ৪ দফা দাবিগুলো হলো- সড়ক দুর্ঘটনার পর প্রভাবশালী মহলের হস্তক্ষেপ বন্ধ, সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ ছাড়াই পরিবহন শ্রমিকদের গ্রেপ্তার বন্ধ, ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মহাসড়ক ও সড়কে অননুমোদিত যান চলাচল বন্ধ এবং পুড়িয়ে ফেলা বাসের ক্ষতিপূরণ এবং অগ্নিসংযোগকারীদের গ্রেপ্তার।

গত সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে রাঙ্গুনিয়ার সপ্তপীর মাজার এলাকায় চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে শাহ আমানত পরিবহনের একটি বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেলে থাকা দুই চুয়েট শিক্ষার্থী নিহত ও অপর একজন আহত হযন। নিহত শান্ত সাহা ও তৌফিক হোসেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা ওইদিন একটি বাসে আগুন দেন।

এরপর বৃহস্পতিবার চুয়েট কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের মৃত্যুর কারণে চলমান অস্থিরতা প্রশমিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করার ঘোষণা দিলে উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা দুটি বাসে আগুন দেন।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

1h ago