রিয়ালকে কীভাবে হারাতে হয় জানেন লেভানদোভস্কিরা

লা লিগা ছাড়া মৌসুমের বাকি সব প্রতিযোগিতা থেকে এরমধ্যেই বিদায় নিয়েছে বার্সেলোনা। লিগেও অবস্থান তাদের ভালো নয়। রিয়াল মাদ্রিদের চেয়ে ৮ পয়েন্ট পিছিয়ে দলটি। মাদ্রিদের ক্লাবটি পা না হড়কালে কোনো সম্ভাবনাই থাকবে না তাদের। এমন অবস্থায় এল ক্লাসিকো ম্যাচ জিতে নিতে মরিয়া বার্সা। আর সেটা কীভাবে করতে হবে তা ভালোভাবেই জানেন বলে মন্তব্য করেছেন দলের অন্যতম সেরা তারকা রবার্ট লেভানদোভস্কি।

রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে বার্সার সাম্প্রতিক সময়ের ফলাফল একেবারেই ভালো নয়। প্রতিযোগিতামূলক সবশেষ তিন ম্যাচেই হেরেছে তারা। এরমধ্যে দুই ম্যাচে হয়েছে রীতিমতো বিধ্বস্ত। রিয়াদে সুপার কাপের ফাইনালে ১-৪ ব্যবধানে হারে তারা। এর আগে কোপা দেল রের ম্যাচে ন্যু ক্যাম্পে ০-৪ ব্যবধানে বিধ্বস্ত হয় দলটি। আর গত অক্টোবরে লিগের প্রথম ম্যাচে নিজেদের মাঠে তারা হেরেছিল ১-২ ব্যবধানে। এমন পরিসংখ্যান সামনে রেখেই আজ রাতে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে স্বাগতিক রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে মাঠে নামছে বার্সা।

অবশ্য বার্নাব্যুতে সব শেষ ম্যাচ জিতেছিল বার্সেলোনাই। গত মার্চে কোপা দেল'রের ম্যাচে এদের মিলিতাওয়ের আত্মঘাতী গোলে তারা জিতেছিল ১-০ ব্যবধানে। অনুপ্রেরণা হতে পারে সেই ম্যাচ। তবে সবশেষ ম্যাচের হার থেকেও দলটি শিক্ষা নিয়েছে বলে জানান লেভানদোভস্কি, 'আমরা জানি কীভাবে রিয়াল মাদ্রিদকে হারাতে হয়। আমরা তাদের জানি এবং শেষবার একে অপরের মুখোমুখি হওয়ার সময় আমরা যে ভুলগুলো করেছিলাম তা বিশ্লেষণ করেছি। আমরা জানি যে যদি তাদের শক্তিকে ছোট করতে করি তাহলে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে আমরা তাদের হারাতে পারব।'

এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে দুই দলের পরিস্থিতিও ভিন্ন। অ্যাওয়ে ম্যাচে জিতেও ঘরের মাঠে পিএসজির কাছে বিধ্বস্ত হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায় নিয়েছে বার্সেলোনা। এমন হারে স্বাভাবিকভাবেই আত্মবিশ্বাস তলানিতে দলটির। অন্যদিকে নিজেদের মাঠে ড্র করেও ম্যানচেস্টার সিটির মাঠে টাই-ব্রেকারে জিতে সেমি-ফাইনালে উঠেছে রিয়াল। ক্লাসিকোর আগে তাই আত্মবিশ্বাসে টইটুম্বুর দলটি। অতি আত্মবিশ্বাসই তাদের কাল হতে পারে বলে মনে করেন লেভা, 'ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে যোগ্যতা অর্জনের আত্মতুষ্টিই রিয়াল মাদ্রিদকে মানসিকভাবে ক্লাসিকো থেকে বের করে দিতে পারে।'

এদিকে গুঞ্জন রয়েছে পিএসজির বিপক্ষে বিধ্বস্ত হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায় নেওয়ার পর লকার রুমে ইকাই গুন্দোগান ও রনালদ আরাহোর মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হয়েছে। সেই সম্পর্কেও জানতে চাওয়া হয় লেভার কাছে। তার উত্তর, 'মিডিয়া যে প্রায়শই এই বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের চেয়ে বেশি চিন্তা করে সেই ধারণা আমরা পেয়েছি। আমি মনে করি ইকাইয়ের বক্তব্যে কোনও ভুল ছিল না কিংবা এটা কোনো কারো উপর ব্যক্তিগত আক্রমণও ছিল না। আমরা মানুষ। যদি কিছু ছিল, সম্ভবত ছিল। ব্যাখ্যা করা হয়েছে। কিন্তু এই মুহূর্তে লকার রুমে কোন সমস্যা নেই।'

Comments

The Daily Star  | English

ICT chief prosecutor compares Ziaul Ahsan to the Butcher of Bosnia

“Did he buy surveillance tools with his own money?" asks Ziaul Ahsan's sister

1h ago