অটোরিকশা-প্রাইভেটকারে ধাক্কা দেওয়া ট্রাকচালকের ছিল না ভারী যানের লাইসেন্স

অটোরিকশা-প্রাইভেটকারে ধাক্কা দেওয়া ট্রাক ও ইনসেটে ট্রাকচালক আল আমিন। ছবি: সংগৃহীত

ঝালকাঠির গাবখানে অটোরিকশা ও প্রাইভেটকারে ধাক্কা দেওয়া সেই ট্রাকটির চালকের ভারী যান চালানোর লাইসেন্স ছিল না।

ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মহিতুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ঘটনার পরপরই ট্রাকচালক আল আমিন হাওলাদার এবং তার সহকারী নাজমুল শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আজ বুধবার দুপুরে ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তিনটি অটোরিকশা ও একটি প্রাইভেটকারকে চাপা দিলে অন্তত ১৪ জন নিহত হন। এ দুর্ঘটনায় আহত হন আরও অনেকে। তাদের মধ্যে নয়জন বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

পুলিশ জানায়, ট্রাকটি আল আমিন চালালেও তিনি সেটির মূল চালক নন। বদলি হিসেবে ট্রাক চালচ্ছিলেন তিনি। তার ভারী গাড়ি চালানোর লাইসেন্স নেই।

গ্রেপ্তার চালক আল আমিন হাওলাদারের বাড়ি ঝালকাঠি সদরের নবগ্রামে। তার সহকারী নাজমুল শেখের বাড়ি খুলনা সদরে।

আতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, 'আল আমিন খুলনা থেকে ট্রাকে সিমেন্টের বস্তা উঠিয়ে নিজ বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। তিনি স্বীকার করেছেন যে তার এই গাড়ি চালানোর অভিজ্ঞতা ছিল না।'

'তার হালকা যান চালানোর লাইসেন্স ছিল। ঘটনার সময় ব্রেকফেল হয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি আমাদের কাছে স্বীকার করেছেন', যোগ করেন তিনি।

খুলনা থেকে ঝালকাঠীগামী সিমেন্টবাহী ট্রাকটি গাবখান টোল প্লাজার সামনে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সামনে থাকা তিনটি ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও একটি প্রাইভেটকারকে ধাক্কা দেয়।

এতে ঘটনাস্থলে ছয়জন ও পরে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ঝালকাঠী সদর হাসপাতালে আটজন মারা যান।

শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে জানান, গুরুতর আহত নয়জন শের-ই বাংলা হাসপাতালে ভর্তি আছে। তাদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

এ ঘটনা তদন্তে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসন চার সদস্যের একটি কমিটি করেছে।

Comments

The Daily Star  | English

Jatiyo Party's office set on fire in Khulna

Protesters vandalised the Jatiyo Party office in Khulna's Dakbangla area last evening

1h ago