অ্যানফিল্ডে বিধ্বস্ত লিভারপুল

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষস্থান হারানোর ধাক্কা এখনও কাটেনি। এরমধ্যেই এবার ইউরোপা লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে আরও বড় ধাক্কা খেয়েছে লিভারপুল। তাও আবার ঘরের মাঠে। ফলে ইউরোপীয় এই প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে যাওয়ার বড় শঙ্কায় পড়েছে অলরেডরা।

অ্যানফিল্ডে বৃহস্পতিবার রাতে ইউরোপা লিগের ম্যাচে ইতালিয়ান ক্লাব আতালান্তার কাছে ০-৩ গোলের ব্যবধানে হেরেছে লিভারপুল। ১৪ মাস পর এই মাঠে অপরাজেয় যাত্রা থামল তাদের। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে সবশেষ রিয়াল মাদ্রিদের কাছে ২-৫ ব্যবধানে হেরেছিল তারা।

এদিন ম্যাচের শুরুতে বেশ কিছু ভালো সুযোগ তৈরি করেছিল লিভারপুল। কিন্তু ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় গোল মিলেনি। তবে ধীরে ধীরে নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে আক্রমণে যায় আতালান্তা। ৩৮ মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোলও পেয়ে যায় দলটি। লক্ষ্যভেদ করেন জিয়ানলুকা স্কামাকা।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই মোহাম্মদ সালাহ, লুইস দিয়াজ, দিয়েগো জোতাদের মাঠে নামান কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ। কিন্তু ম্যাচে ফিরতে পারেনি। যদিও একবার জালে বল পাঠিয়েছিলেন সালাহ। কিন্তু অফসাইডে থকার কারণে গোল মিলেনি। এরমধ্যে ৬০তম মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলে ব্যবধান বাড়ান স্কামাকা। আর ৮৩তম মিনিটে স্বাগতিকদের জালে আরও একবার বল পাঠান মিডফিল্ডার মারিও পাসালিচ।

আতালান্তার বিপক্ষে এমন হারের পর স্বাভাবিকভাবেই হতাশ ক্লপ, 'খুবই বাজে একটা ম্যাচ খেলেছি। আমাদের শুরুটা ভালো ছিল। খুবই ভালো। কিন্তু সেটা ধরে রাখতে পারিনি। ওরা গোল করেছে আর আমরা নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছি। মাঝমাঠে আমরা এখানে-সেখানে খেলেছি। আমিই চিনতে পারিনি।'

ইউরোপা লিগে টিকে থাকতে হলে আতালান্তার মাঠে চার গোলের ব্যবধানে জিততে হবে। আর তা করা সম্ভব কি-না জনাতে চাইলে এই জার্মান কোচ বলেন, 'সেটা এখনই বলার সময় নয়। এক সপ্তাহ পরের ম্যাচ নিয়ে ভাবার অবস্থায় আমি নেই। এর মাঝে আমাদের আরও একটি ম্যাচ (ক্রিস্টাল প্যালেস) আছে। অবশ্যই জেতার চেষ্টা করব। আমরা তো জিততেই চাই।'

Comments

The Daily Star  | English

ICT act won’t have provisions for punishment of political parties

Says law adviser; provision of death sentence to remain

1h ago