ঈদের আগের দিন ফাঁকা উত্তরের মহাসড়ক, নেই যাত্রীর ভিড়

ঈদের আগের দিন ফাঁকা উত্তরের মহাসড়ক, নেই যাত্রীর ভিড়
আজ বুধবার বিকেলে গাজীপুর চান্দনা চৌরাস্তা এলাকার চিত্র | ছবি: মনজুরুল হক/স্টার

রাত পোহালেই ঈদ। ইতোমধ্যে ছুটি হয়ে গেছে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান। তবে ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গে যাওয়ার পথে নেই চির চেনা ভিড়।

আজ বুধবার বিকেলে গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা, ভোগরা বাইপাস, টঙ্গী এলাকায় মহাসড়ক একদম ফাঁকা দেখা গেছে। তবে ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে কিছু গাড়ি চলতে দেখা গেছে।

গাজীপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত সহকারী সুপার (ট্রাফিক) নাজমুস সাকিব দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আজ সকালে কিছুটা ভিড় ছিল। এখন মহাসড়ক একেবারে ফাঁকা। গত দুই দিনে বেশির ভাগ মানুষ শহর ছেড়ে চলে গেছে।'

তিনি আরও বলেন, 'ধারণা করা হচ্ছে সন্ধ্যার পর যাত্রীর চাপ আবারও কিছুটা বাড়তে পারে।'

ঢাকার মহাখালী থেকে কিশোরগঞ্জ রুটে চলে সম্রাট পরিবহন। এই পরিবহন কোম্পানির মালিক শরীফ শিকদার ডেইলি স্টারকে বলেন, 'যাত্রী না থাকায় আমরা কাউন্টার বন্ধ করে দিয়েছি। কিছু গাড়ি লোকাল চলছে।'

একই রুটে চলা জলসিঁড়ি পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার আবুল হাসেম মিয়া ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমাদের কাউন্টার চালু আছে। তবে অন্য বছরের তুলনায় যাত্রী অনেক কম। ডেকেও যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না।'

পোশাক শ্রমিক তমিজ উদ্দিন বলেন, 'এই প্রথম দেখলাম ঈদের আগে সড়ক চান্দনা চৌরাস্তা একেবারে ফাঁকা।'

ঈদের কেনাকাটা করতে জয়দেবপুর থেকে ঢাকার উত্তরায় গিয়েছিলেন নাজমা খাতুন। তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বসুমতি বাসে গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত যেতে কোথাও দাঁড়াতে হয়নি। বাসেও তেমন যাত্রী ছিল না। ঢাকাও ফাঁকা হয়ে গেছে।'

বাস কম থাকলেও জয়দেবপুর থেকে ঢাকা, ময়মনসিংহ ও কিশোরগঞ্জ রুটে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলতে দেখা গেছে।

এদিন রেলওয়ে স্টেশনও প্রায় ফাঁকা দেখা গেছে। দুপুরে জয়দেবপুর জংশন রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার আবু হানিফ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গতকাল সারারাত জংশনে যাত্রী ছিল, আজ চাপ নেই।'

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রেল কর্মকর্তা বলেন, 'জয়দেবপুর জংশনে গতকালও যাত্রী কম ছিল, আজও কম। গত রাত ১১টায় একটি বিশেষ ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল, সেটি আজ ভোররাত ৩টায় ছেড়ে গেছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Dhaka airport receives 2nd bomb threat

Operations at HSIA continue amid heightened security

52m ago