৩ উপজেলার গ্রাহকের ভিড় বান্দরবান সদরের সোনালী ব্যাংকে

কড়া নিরাপত্তায় চালু রাখা হয়েছে বান্দরবান সদর সোনালী ব্যাংকের শাখা। ছবি: স্টার

বান্দরবানে রুমা-থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, অস্ত্র লুট, গোলাগুলি ও ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের ঘটনার পর রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংক বন্ধ রাখা হয়েছে। 

এই তিন উপজেলা শাখার গ্রাহকদের লেনদেন চলছে বান্দরবান সদর শাখায়।

আজ সোমবার সদর শাখায় তিন উপজেলার গ্রাহকদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে।

দুপুরে সোনালী ব্যাংকে গিয়ে দেখা যায়, ব্যাংকের মূল ফটক দুটি বন্ধ। নিরাপত্তাকর্মীরা ৪-৫ জন করে গ্রাহকদের ব্যাংকে ঢুকতে দিচ্ছেন। গ্রাহকরা কেউ বাইরে দাড়িয়ে আছেন, আবার কেউ বসে অপেক্ষা করছেন। ব্যাংকের চারপাশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নিরাপত্তা।  

রোয়াংছড়ি থেকে আসা সোনালী ব্যাংকের গ্রাহক গুংজন ত্রিপুরা বেতনের টাকা তুলতে আসেন সদর শাখায়। তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কয়েকদিন পরেই নববর্ষ উৎসব (বৈসাবি) এবং মুসলিমদের পবিত্র ঈদ। সবাই বেতন-বোনাসের টাকা তুলতে ভিড় করছে। রোয়াংছড়িতে ব্যাংক বন্ধ থাকায় বান্দরবানে এসে টাকা তুলতে হচ্ছে।'

রুমা থেকে সদরে টাকা তুলতে এসে দুই ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন কিকিউ মার্মা। তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এক সপ্তাহ পর আমাদের সাংগ্রাই। ঈদের ছুটিতে ব্যাংক বন্ধ হয়ে যাবে। তাই ব্যাংকে জমানো টাকা তুলতে আসতে হয়েছে জেলা শহরে।'

থানচি বাজারের ব্যবসায়ী রে মং মারমা, চাই‌ এ মং মারমা ও জসিম উদ্দিনও এসেছেন সদরের ব্যাংকে লেনদেন করতে। তারা ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা বিপদের মধ্যে আছি। ১০০ কিলোমিটার দূর থেকে টাকা লেনদেনের জন্য সদরে আসা খুবই কষ্টকর এবং অনেক ঝুঁকিও আছে। তবুও আসতে হচ্ছে।'

আরেক গ্রাহক নুরুল আমিন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ঈদে বাচ্চাদের জামাকাপড় কিনে দিতে পারিনি এখনো। রুমায় ব্যাংক বন্ধ, তাই বাধ্য হয়ে জেলা শহরে এসে টাকা তুলে নিলাম।'

জানতে চাইলে বান্দরবান সোনালী ব্যাংক শাখা ব্যবস্থাপক রাজন কান্তি দাশ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়ির তিন শাখার লেনদেন এই শাখায় হচ্ছে। শত শত মানুষ ব্যাংকের ভেতরে ও বাইরে দাঁড়িয়ে আছে।'

এখানে এত ভিড় আগে কখনো দেখেননি বলে জানান তিনি।

গত মঙ্গলবার রাতে বান্দরবানে রুমায় সোনালী ব্যাংক লুট করে সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)। এ সময় তারা ব্যাংক ম্যানেজার নেজাম উদ্দীনকেও অপহরণ করে তারা। ১৫ ঘণ্টার মাথায় থানচি উপজেলার সোনালী ও কৃষি ব্যাংক লুট করে তারা। 

এ ঘটনার পর রুমা, থানচি, রোয়াংছড়ি, আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি ও লামা উপজেলা শাখার ব্যাংক কার্যক্রম একদিন বন্ধ রাখা হয়। পরে আলীকদম, লামা ও নাইক্ষ্যংছড়ি শাখার ব্যাংক খুলে দেওয়া হলেও রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়িতে নিরাপত্তার কারণে সোনালী ও কৃষি ব্যাংক বন্ধ রাখা হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Main Eid congregation held at National Eidgah

With due religious solemnity and fervour, the main congregation of Eid-ul-Azha was held at the National Eidgah.

10m ago