আরিচা-পাটুরিয়ায় যাত্রী ও যানবাহনের চাপ নেই

ঈদযাত্রা
পাটুরিয়া ফেরিঘাট। ৭ এপ্রিল ২০২৪। ছবি: স্টার

ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে মানিকগঞ্জ অংশে পাটুরিয়া ও আরিচা অভিমুখে কিছু সংখ্যক মোটরসাইকেল, প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাসের পাশাপাশি কিছু ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও বাস চলতে দেখা গেছে।

আজ রোববার সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথের পাটুরিয়া ঘাট ও আরিচা-কাজিরহাট নৌপথের আরিচা ঘাটে গাড়ির সারি চোখে পড়েনি। সব ধরনের গাড়ি ঘাটে আসা মাত্র ফেরিতে পার হয়ে যেতে পেরেছে।

পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ফেরির পাশাপাশি ৩৩টি লঞ্চ চলাচল করছে। লঞ্চেও যাত্রীদের চাপ দেখা যায়নি।

এদিকে, ঈদে ঘরমুখী মানুষ ও যানবাহন নির্বিঘ্নে ও নিরাপদে পারাপারে ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষ, জেলা পুলিশ ও জেলা প্রশাসন নানান উদ্যোগ নিয়েছে। বৈরী আবহাওয়া না থাকলে এবারের ঈদযাত্রায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক, পাটুরিয়া ও আরিচা ফেরিঘাট হয়ে ভোগান্তি ছাড়াই দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল জেলাগুলোর মানুষ বাড়ি ফিরতে পারবেন বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

গোলড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকেন্দ বসু দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ঈদে মানুষজন গ্রামের বাড়িতে যেতে শুরু করছে। তবে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জের অংশের যানবাহনের চাপ নেই। ঈদের দু-একদিন আগে সাভার, আশুলিয়া, নবীনগরসহ ওই অঞ্চলের পোশাক কারখানা ছুটি হলে যানবাহনের চাপ কিছুটা বাড়তে পারে। তবে মহাসড়ক যানজটমুক্ত রাখতে জেলা পুলিশের পাশাপাশি হাইওয়ে পুলিশ কাজ করছে।'

জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (টিআই) কে এম মেরাজ উদ্দিন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ঈদযাত্রায় ঘরমুখী মানুষের নিরাপদ যাতায়াতের জন্য পুলিশ সুপার আমাদের দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। সেই অনুযায়ী ট্রাফিক পুলিশ কাজ করছে।'

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিটিসি) আরিচা আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) শাহ মোহাম্মদ খালেদ নেওয়াজ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ১৪টি ফেরি চালু আছে। আরও একটি ফেরি যুক্ত হবে। অন্যদিকে, আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে পাঁচটি ফেরি চালু আছে। আশাকরি, যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়ে গেলেও সেগুলোকে খুব সহজে ও নির্বিঘ্নে পার করা সম্ভব হবে।'

তিনি আরও বলেন, 'ঈদের তিন দিন আগে ও পরে সাধারণ পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে, গাড়ির চাপ কম থাকলে পণ্যবাহী গাড়িগুলোকে পার করা হবে।'

শাহ মোহাম্মদ খালেদ নেওয়াজ জানান, আজ সকালের দিকে কিছু সংখ্যক ছোট গাড়ি ও মোটরসাইকেল পার হয়েছে। তবে, আগামীকাল থেকে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ কিছুটা বাড়তে পারে।

'আশা করছি, ভোগান্তি ছাড়াই এবার ঘরমুখী মানুষ ও যানগুলো নৌপথ পারাপার হতে পারবে। গ্রামের বাড়িতে গিয়ে মানুষ প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ করতে পারবে,' যোগ করেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Students, teachers call for JnU 'shutdown'

JnU students have continued their blockade at the capital's Kakrail intersection for the second consecutive day

2h ago