ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগ

আবু হায়দার রনি নিলেন ৭ উইকেট, প্রতিপক্ষ অলআউট ৪০ রানে

Abu Hider Rony

১০০ ওভারের ওয়ানডে ম্যাচের আয়ু স্থায়ী হলো স্রেফ ১৮.১  ওভার।  আবু হায়দার রনির বিধ্বংসী বোলিংয়ে এমন দৃশ্যই দেখা গেল বিকেএসপিতে। এবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে প্রতিপক্ষকে সর্বনিম্ন রানে গুটিয়ে বিশাল জয় পেল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব।

শনিবার বিকেএসপিতে গাজী টায়ার্স ক্রিকেট একাডেমিকে মাত্র ৪০ রানে গুটিয়ে দেয় মোহামেডান । পরে ৪১ রান তুলে ১০ উইকেটে ম্যাচ জিততে লাগে তাদের কেবল ৩৭ বল। বাংলাদেশের ক্রিকেটে স্বীকৃত লিস্ট-এ ম্যাচে এরচেয়ে কম রানে গুটিয়ে যাওয়ার ঘটনা আছে দুটি। জাতীয় ক্রিকেট লিগের ওয়ানডে আসরে ২০০২ সালে সিলেট বিভাগের বিপক্ষে ৩০ রানে অলআউট হয়েছিলো চট্টগ্রাম বিভাগ। ২০১৩ সালে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেটে ক্রিকেট কোচিং স্কুলকে ৩৫ রানে অলআউট করে আবাহনী। 

মোহামেডানকে এমন দারুণ দিন এনে দেন বাঁহাতি পেসার রনি। ৬ ওভার বল করে ২০ রানে ৭ উইকেট নিয়েছেন তিনি। লিস্ট-এ ক্রিকেটে এটি তার সেরা বোলিং ফিগার। বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে তৃতীয় সেরা।  লিস্ট-এ ক্রিকেটে বাংলাদেশ বোলারদের মধ্যে রনির চেয়ে ভালো বোলিংয়ের বাকি দুই নজির বেশ আগের।  ২০১৭-১৮ মৌসুমের প্রিমিয়ার লিগে আবাহনী লিমিটেডের বিপক্ষে ৪০ রানে ৮ উইকেট নিয়েছিলেন গাজী গ্রুপের তরুণ পেসার ইয়াসিন আরাফাত।  ২০০৪ সালে  জিম্বাবুয়ে 'এ' দলের বিপক্ষে ১৭ রানে ৭ উইকেট নেন বাঁহাতি স্পিনার ও বর্তমান নির্বাচক আব্দুর রাজ্জাক। 

গাজী টায়ার্সকে গুটিয়ে দেওয়ার দিনে রনি ছাড়া আর কেবল নাসুম আহমেদ বোলিং করেন। তিনিও ২০ রান দিয়ে পান ৩ উইকেট।সকালে টস জিতে ব্যাটিং বেছে চরম বিপদে পড়ে গাজী টায়ার্স। দ্বিতীয় ওভার থেকেই উইকেট হারাতে থাকে তারা। মাত্র ১২ ওভারেই অলআউট হয়ে যায়।  পুরো ইনিংসে একজন মাত্র ব্যাটার পেরুতে পারেন দুই অঙ্ক। আটে নামা ইফতেখার সাজ্জাদ করেন ১৮ বলে ১৬। বাকিদের স্কোর রীতিমতো টেলিফোন ডিজিট।

রান তাড়ায় গিয়ে ৩৫ রান তোলার পর রনি তালুকদারের (১২ বলে ১২) উইকেট হারায় মোহামেডান। অধিনায়ক ইমরুল অপরাজিত থেকে (২১ বলে ১৯) ম্যাচ শেষ করে দেন।

Comments

The Daily Star  | English

Muslin’s revival weaves past into present

On a golden summer morning in Rupganj, Narayanganj, the sound of handlooms echoes from tin-roofed sheds nestled amid winding village paths and open fields.

15h ago