মালয়েশিয়ায় ‘সেকেন্ড হোম’ ৩৬০৪ বাংলাদেশির

মালয়েশিয়ায় দ্বিতীয় নিবাস গড়ার 'মালয়েশিয়া মাই সেকেন্ড হোম' কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীদের তালিকায় চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশিরা। এখন পর্যন্ত তিন হাজার ৬০৪ জন বাংলাদেশি মালয়েশিয়ায় 'সেকেন্ড হোম' গড়েছেন।

২৯ মার্চ মালয়েশিয়ার পর্যটন, শিল্প ও সংস্কৃতি মন্ত্রী টিয়ং কিং সিং এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, দেশটিতে গত ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ৫৬ হাজার ৬৬ জন সক্রিয় 'সেকেন্ড হোম' পাস হোল্ডার রয়েছেন—যার মধ্যে পার্টিসিপেন্ট পাস হোল্ডার ২৭ হাজার ৭৫৯ জন এবং নির্ভরশীল ২৮ হাজার ৩০৭ জন।

তালিকায় ২৪ হাজার ৭৬৫ জন পাসধারী নিয়ে শীর্ষে রয়েছে চীন। এরপরে যথাক্রমে দক্ষিণ কোরিয়ার চার হাজার ৯৪০ জন, জাপানের চার হাজার ৭৩৩ জন, বাংলাদেশের তিন হাজার ৬০৪ জন, যুক্তরাজ্যের দুই হাজার ২৩৪ জন, তাইওয়ানের এক হাজার ৬১১ জন, যুক্তরাষ্ট্রের এক হাজার ৩৪০ জন রয়েছে।

এ ছাড়া, সিঙ্গাপুরের রয়েছেন এক হাজার ২৮২ জন, ভারতের এক হাজার ২২৩ জন এবং অস্ট্রেলিয়ার এক হাজার ৬৯ জন।

মালয়েশিয়া 'মাই সেকেন্ড হোম' প্রোগ্রামে ২০১৮ সালে পাঁচ হাজার ৬১০টি এবং ২০১৯ সালে তিন হাজার ৯২৯টি আবেদন অনুমোদন দেয়। প্রোগ্রামটি ২০২০ সালের আগস্টে সাময়িক বন্ধ ছিল।

এরপর ২০২১ সালের অক্টোবর থেকে প্রায় এক হাজার ৪৬৮টি আবেদন অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।

'সেকেন্ড হোম' কর্মসূচিতে আরও বেশি বিদেশি আবেদনকারীদের আকৃষ্ট করতে শর্ত সহজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার। গত ১৪ মার্চ দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী দাতুক সেরি ডা. আহমদ জাহিদ হামিদি এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান।

তবে শর্ত সংশোধনের ক্ষেত্রে জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রাখা হবে বলেও জানান তিনি।

যেসব শর্ত সংশোধন করা হবে তার মধ্যে রয়েছে, আবেদনকারীদের আবশ্যক ফিক্সড ডিপোজিটের পরিমাণ সিলভার, গোল্ড ও প্লাটিনাম এই তিনটি স্তরে পরিবর্তিত হবে।

আবেদন প্রক্রিয়া সহজ করার জন্য অভিবাসন বিভাগের সঙ্গেও কাজ করবে সংশ্লিষ্ট বিভাগ। সব ফরম পূরণ করার পর নিরাপত্তা অনুসারে আবেদনকারী যোগ্য কি না, তা তিন কার্যদিবসের মধ্যেই যাচাই করা হবে।

সংশোধিত শর্ত অনুযায়ী, আবেদনকারীরা ১০ বছরের আগে তাদের সম্পত্তি পুনরায় বিক্রি করতে পারবেন না এবং তাদের ভিসা প্রতি পাঁচ বছর পর পর নবায়ন করতে হবে।

দেশটির সরকার আবেদনকারীদেরকে সন্তানের জন্য পছন্দের স্কুল বেছে নেওয়ার সুবিধা দেবে।

এ ছাড়া, যারা ফরেস্ট সিটির জন্য আবেদন করছেন, তাদের ক্ষেত্রেও একই নিয়মে শর্ত সহজ করা হবে।

গত ১২ মার্চ দেশটির পর্যটন, শিল্প ও সংস্কৃতি মন্ত্রী দাতুক সেরি টিয়ং কিং সিং সংসদে বলেছেন, 'আরও বিদেশি নাগরিক মাই সেকেন্ড হোম প্রোগ্রামে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে, কারণ সরকার কিছু শর্ত শিথিল করার দিকে নজর দিয়েছে।'

'সেকেন্ড হোম' ক্যাটাগরির নানা আলোচনা ও সমালোচনার পর ২০২২ সালের অক্টোবরে মালয়েশিয়া সরকার নতুন করে পিভিআইপি নামে প্রিমিয়াম ভিসা চালু করেছে—যেটি প্রায় সেকেন্ড হোম ক্যাটাগরির।

পিভিআইপি প্রোগ্রামে আবেদন করেছেন মোট ৪৭ জন বিদেশি ধনী বিনিয়োগকারী, যাদের মধ্যে একজন বাংলাদেশি।

 

Comments

The Daily Star  | English

Cops charge batons, fire tear shells as students enter Secretariat

A chase and counter chase were going on as of filing the report around 5:15pm

2h ago