আর্জেন্টিনার জার্সিতে গোল করতে ভুলে গেছেন লাউতারো-আলভারেজ?

ছবি: এএফপি

প্রত্যাশা অনুসারে এলসালভাদরের বিপক্ষে অনায়াস জয় তুলে নিয়েছে আর্জেন্টিনা। চোটের কারণে অধিনায়ক লিওনেল মেসির না থাকার কোনো প্রভাব পড়েনি তাদের পারফরম্যান্সে। তবে বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের সমর্থকদের একটি দুর্ভাবনা থেকেই গেছে। গোলখরা কাটাতে পারেননি পুরো সময় খেলা লাউতারো মার্তিনেজ। আর হুলিয়ান আলভারেজকে মাঠে নামানোর দরকার মনে করেননি কোচ লিওনেল স্কালোনি।

শনিবার প্রীতি ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ায় ৩-০ গোলে জিতেছে আলবিসেলেস্তেরা। প্রথমার্ধে ক্রিস্তিয়ান রোমেরো ও এঞ্জো ফার্নান্দেজ লক্ষ্যভেদ করার পর দ্বিতীয়ার্ধে জাল খুঁজে নেন জিওভানি লো সেলসো। লাউতারো নিজে নিশানা ভেদ করতে না পারলেও অ্যাসিস্ট করেন লো সেলসোর গোলে।

সাধারণত স্ট্রাইকার হিসেবে আর্জেন্টিনার একাদশে থাকেন লাউতারো ও আলভারেজের অন্তত একজন। তাদের ওপরই আস্থা রেখে যাচ্ছেন কোপা আমেরিকা ও বিশ্বকাপজয়ী কোচ স্কালোনি। কিন্তু ক্লাবে দুর্দান্ত ফর্মে থাকলেও ২০২৩ সালে দুজনের কেউই কোনো গোলের দেখা পাননি জাতীয় দলের জার্সিতে। গোলমুখে তাদের চলমান দীর্ঘস্থায়ী বাজে দশার মধ্যে মেসি ও বাকি সতীর্থরা ঘাটতি দূর করে যাচ্ছেন। গত বছর আর্জেন্টিনা সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১০ ম্যাচ খেলে নয়টিতেই জেতে। প্রতিপক্ষের জালে তারা বল পাঠায় ২১ বার।

২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে প্রীতি ম্যাচে হন্ডুরাসের বিপক্ষে শেষবার গোল করেছিলেন লাউতারো। এরপর ইন্টার মিলানের তারকা আর্জেন্টিনার হয়ে খেলে ফেলেছেন ১৬ ম্যাচ। কিন্তু আর খুঁজে পাননি লক্ষ্য। ২১ গোলেই থেমে আছেন তিনি।

কাতার বিশ্বকাপে ৬ ম্যাচ খেলে গোল না পাওয়া লাউতারোর ছন্দহীনতার অভাব টের পেতে দেননি আলভারেজ। ম্যানচেস্টার সিটির তারকা ৭ ম্যাচ খেলে করেছিলেন ৪ গোল। তবে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে জোড়া গোলের পর থেকে তিনিও একই দিশাহীন পথের পথিক। ১০ ম্যাচ খেলে আর কোনো গোল নেই তার নামের পাশে।

আগামী জুন-জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হবে কোপা আমেরিকার পরবর্তী আসর। সেখানে আর্জেন্টিনা নামবে শিরোপা ধরে রাখার লড়াইয়ে। তাই লাউতারো-আলভারেজের গোলখরা যত দ্রুত সম্ভব কেটে যাওয়ার প্রত্যাশাতেই থাকবে তিনবারের বিশ্বজয়ীরা। তা পূরণ হয়ে যেতে পারে আগামী বুধবার। লস অ্যাঞ্জেলসে আরেকটি প্রীতি ম্যাচে কোস্টারিকার মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা।

Comments

The Daily Star  | English

Ending impunity for crimes against journalists

Though the signals are mixed we still hope that the media in Bangladesh will see a new dawn.

15h ago