মেজর (অব.) হাফিজ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার: মঈন খান

মেজর (অব.) হাফিজ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার: মঈন খান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন বীর বিক্রম রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান।

আজ বুধবার দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে তার পরিবারকে সমবেদনা জানাতে গিয়ে মঈন খান এ কথা বলেন।

মঈন খান বলেন, 'এটা কারও অজানা নয় যে, আমাদের বীর বিক্রম মেজর হাফিজ মিথ্যা প্রলোভনে নতিস্বীকার করেননি। সরকারের বিভিন্ন রকম চাপ; পরিস্থিতি সৃষ্টি করে তাকে সরকারি দলে যোগ দেওয়ার একটা ছলনা সৃষ্টি করা, সেই ছলনায় তিনি অংশগ্রহণ করেননি। অনেকে বলেন, সেই আক্রোশও মেজর হাফিজের ওপর রয়েছে এই সরকারের। তারই হয়তো বহিঃপ্রকাশ গতকাল ঘটে থাকতে পারে।'

তিনি বলেন, 'আজকে এসব আর গোপনীয় বিষয় নয়। বাংলাদেশের মানুষ সব কিছু জানে, সব কিছু বোঝে। আজকে সরকার যে কাজগুলো করছে এবং গতকাল বীর বিক্রম মেজর হাফিজকে তারা কারারুদ্ধ করেছে এর চেয়ে নিন্দাজনক, লজ্জাজনক বিষয় তো আর কিছু হতে পারে না।'

বাংলাদেশে রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজ ব্যবস্থা, প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, বিচার ব্যবস্থা, সংসদ, নির্বাচন কমিশন সব কিছু প্রতিহিংসার রাজনীতির কারণে ধ্বংস হয়ে গেছে বলেও এ সময় মন্তব্য করেন তিনি।

মঈন খান বলেন, 'একদলীয় সরকার আজকে এখানে আছে এটা তো আমাদের কথা না, সারা বিশ্বের মিডিয়া এই কথা বলছে। পশ্চিমা বিশ্বের গণতন্ত্রকামী রাষ্ট্রগুলো; যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, এমনকি জাতিসংঘ পর্যন্ত বলেছে, বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই, বাংলাদেশে মানবাধিকার নেই, বাংলাদেশের মানুষের ভোটের নেই, আর কী বলবে!'

তিনি বলেন, 'বিএনপি তো তাদের কথা বলতে শিখিয়ে দেয়নি! আর যদি বিএনপির কথায় তারা প্রতিধ্বনি করে থাকে, তাহলে তো বুঝতে হবে যে বিএনপি সত্য কথা বলে, পৃথিবীর সবাই বিএনপির কথায় ওঠে-বসে।

'বাস্তবতা হচ্ছে, এই সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য কোথায় নামতে পারে তার প্রমাণ গতকাল হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে একজন বীর সেনানী বীর বিক্রম মেজর হাফিজকে তারা মিথ্যা একটি মামলা দিয়ে কারারুদ্ধ করেছে। আমরা এর পেছনে পর্দার অন্তরালে অনেক কথা শুনেছিলাম, ৭ জানুয়ারির আগে, সরকার বিএনপি দলটিকে ভেঙে চুরমার করে দিয়ে বিভিন্ন সদস্যদের লোভ-লালসা দেখিয়ে নিজেদের দলে যোগদানে প্রলুব্ধ করার চেষ্টা করছে,' বলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Crowd control: Police seek to stop use of lethal weapon

The police may stop using lethal weapons and lead pellets for crowd control as their widespread use during the July mass uprising led to massive casualties and global criticism.

8h ago