যানজট কমাতে চট্টগ্রামে পে-পার্কিং চালু করছে চসিক
যানজট কমাতে চট্টগ্রাম নগরের আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকায় পরীক্ষামূলকভাবে পে-পার্কিং চালু করছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন।
রোববার দুপুরে চসিক সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রাম সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর উপস্থিতিতে পে-পার্কিং চালুর জন্য সমঝোতা চুক্তিতে সই করেন চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম ও বি-ট্র্যাক সলিউশন এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম তানভীর সিদ্দিকী।
৭ মার্চ থেকে চসিকের নির্ধারিত স্থানে পে-পার্কিং চালুর জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ শুরু করবে বি-ট্র্যাক সলিউশন। মে মাসের প্রথম সপ্তাহে আনুষ্ঠানিকভাবে পে-পার্কিং চালু করতে পারবে বলে আশা করছে প্রতিষ্ঠানটি।
যানজট কমাতে নগরীর প্রত্যেকটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পে-পার্কিংয়ের ব্যবস্থা নেওয়া হবে মন্তব্য করে মেয়র বলেন, 'দীর্ঘদিন ধরে নগরীতে যে যানজট লেগে আছে তা নিরসনের জন্য চসিক ও সিএমপি ট্রাফিক বিভাগকে সাথে নিয়ে বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করে আপাতত আগ্রাবাদ এলাকায় পে-পার্কিং এর পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বি-ট্র্যাক সলিউশন এর সাথে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। এই চুক্তি সফলতার সাথে বাস্তবায়িত হলে পরবর্তীতে আরও পে-পার্কিং প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।'
'নগরীর নিউ মার্কেট এলাকায় ফুটপাতকে অবৈধ দখল মুক্ত করে ঐখানে সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ চলছে। নগরবাসী যাতে ফুটপাতে অবাধে ও নিরাপদভাবে চলতে পারে সেজন্য চসিক কঠোরভাবে নজরদারি করছে। ঠিক অনুরূপভাবে নগরীর যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং বন্ধে পে-পার্কিং এর উদ্যোগ গ্রহণ করেছি,' বলেন তিনি।
নগরীকে নান্দনিক, যানজট মুক্ত ও পরিবেশ বান্ধব সুন্দর শহরে রূপান্তর করতে সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, বিশেষজ্ঞ ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সহযোগিতা কামনা করেন মেয়র।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চসিক প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. নজরুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা লতিফুল হক কাজমী, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা ও মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, নগর পরিকল্পনাবিদ আবদুল্লাহ আল ওমর, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শাহীন-উল-ইসলাম চৌধুরী, মো. ফরহাদুল আলম, সহকারী প্রকৌশলী মো. শাফকাত বিন আমিন এবং বি-ট্র্যাক সলিউশনের প্রকল্প প্রধান, ও বি-ট্র্যাক সলিউশনের প্রকল্প প্রধান সাফায়েত আবদুল্লাহ, হেড অব সেলস সিরাজ উদ্দিন, ডেপুটি ম্যানেজার মো. শাহ ফারুক ও জুনিয়র একজিকিউটিভ সরোয়ার হোসেন চৌধুরীসহ চসিকের কর্মকর্তারা।
Comments