কক্সবাজারে বাবা-মায়ের মাঝে কবরে শায়িত ফাইরুজ

বাবা-মায়ের সঙ্গে ফাইরুজ। ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজারের উখিয়ায় পারিবারিক কবরস্থানে বাবা-মায়ের পাশে দাফন করা হলো চার বছরের ফাইরুজকে।

গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বেইলি রোডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বাবা শাহ জালাল উদ্দিন, মা মেহেরুন নিসার সঙ্গে মারা যায় ফাইরুজ কাশেম জামিরা।

আজ রোববার পশ্চিম মরিচ্যার স্থানীয় মসজিদ সংলগ্ন পারিবারিক কবরস্থানে তিন জনকে পাশাপাশি কবরে দাফন করা হয়।

বেলা ১২ টায় মরিচ্যা মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দ্বিতীয় নামাজে জানাজা শেষে তাদের দাফন সম্পন্ন হয়। যেখানে ঢল নামে এলাকাবাসীসহ শোকার্ত মানুষের।

এর আগে সকাল থেকে দূর-দূরান্ত থেকে তাদের শেষবার দেখতে ছুটে আসেন হাজারো মানুষ। মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স ঘিরে চলে স্বজনদের আহাজারি।

গত রাত সাড়ে ৮টার দিকে শাহজালালের স্ত্রী মেহেরুন নিসার রামুর গ্রামের বাড়ি ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নে পৌঁছায় তাদের মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স। তাদের মরদেহ কক্সবাজার পৌঁছার পর সৃষ্টি হয় হৃদয়বিদারক পরিস্থিতি। ওই রাত সাড়ে ১১টায় অনুষ্ঠিত হয় প্রথম জানাজা। এরপর মরদেহ নেওয়া হয় শাহজালালের গ্রামের বাড়ি কক্সবাজারের হলদিয়াপালংয়ে।

সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা শাহ জালাল উদ্দিন ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জের  পানগাঁও কাস্টমস অফিসে কর্মরত ছিলেন। তিন দিনের ছুটি পাওয়ায় বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা থেকে স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে খাগড়াছড়ি ভ্রমণের কথা ছিল। কিন্তু সেখানে রওনা দেওয়ার আগে বেইলি রোডে রেঁস্তোরায় খেতে গিয়ে আগুনে পুড়ে মারা যান তিন জন।

অগ্নিকাণ্ডের ২৪ ঘণ্টা অতিবাহিত হওয়ার পরও তাদের লাশ অজ্ঞাত হিসেবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে পড়েছিল। পরে শুক্রবার রাতে তিন জনের মরদেহ শনাক্ত করেন স্বজনরা।

Comments

The Daily Star  | English

‘Shockingly insufficient’

"The proposed decision to allocate USD 250 billion per year for all developing countries is shockingly insufficient," said the adviser

2h ago