বিপিএলের ফাইনালে বরিশালকে ১৫৫ রানের লক্ষ্য দিল কুমিল্লা
শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে হতাশ করলেন উপরের দিকের ব্যাটাররা। কেউই টি-টোয়েন্টিসুলভ ব্যাটিং উপহার দিতে পারলেন না। তবে আটে নেমে ঝড় তুলে পরিস্থিতি বদলে দিলেন আন্দ্রে রাসেল। তার কল্যাণে লড়াইয়ের পুঁজি পেল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ফরচুন বরিশালকে তারা ছুঁড়ে দিল চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য।
শুক্রবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে বিপিএলের ফাইনালে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৬ উইকেটে ১৫৪ রান করেছে কুমিল্লা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের তারকা রাসেলের আক্রমণাত্মক ইনিংসে শেষ চার ওভারে তারা স্কোরবোর্ডে তোলে ৪৮ রান।
বিপিএলের আগের নয়টি ফাইনালে আগে ব্যাট করা দল জিতেছে মাত্র তিনবার। বাকি ছয়টিতেই শেষ হাসি হেসেছে আগে ব্যাট করা দল।
রাসেল ১৪ বল মোকাবিলায় ২৭ রানে অপরাজিত থাকেন। তার ব্যাট থেকে আসে চারটি ছক্কা। জাকের আলী অনিককে নিয়ে সপ্তম উইকেটে ইনিংসের সর্বোচ্চ ৩৯ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি তিনি গড়েন ২১ বলে। জাকের অবশ্য বাকিদের মতো খোলসে বন্দি ছিলেন। ২৩ বলে দুটি চারে তিনি করেন অপরাজিত ২০ রান।
মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের প্রায় পুরোটা দারুণ আঁটসাঁট ছিলেন বরিশালের বোলাররা। শেষদিকে অবশ্য লাগাম ছুটে যায়। ইংল্যান্ডের পেসার জেমস ফুলারের করা ১৯তম ওভার থেকে তিনটি ছক্কায় ২১ রান আনেন রাসেল। তবে ইনিংসের একদম শেষ ওভারে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন নজর কাড়েন। ওই ওভার থেকে আসে স্রেফ ৭ রান। রাসেল পাঁচটি বল মোকাবিলা করে একটি মাত্র সিঙ্গেল নিতে পারেন। পাঁচটি রান আসে অতিরিক্ত খাত থেকে।
চারটি শিরোপা নিয়ে বিপিএলের সফলতম দল ও বর্তমান শিরোপাধারী কুমিল্লার পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। তিনি ৩৫ বল খেলে সমান দুটি করে চার ও ছক্কা মারেন। এছাড়া, অধিনায়ক লিটন দাস ১২ বলে ১৬, তাওহিদ হৃদয় ১০ বলে ১৫ ও জনসন চার্লস ১৭ বলে ১৫ রানে আউট হন।
বিপিএলে প্রথম শিরোপার খোঁজে থাকা বরিশালের হয়ে ফুলার ২ উইকেট নেন ৪৩ রানে। ১ উইকেট নিতে সাইফউদ্দিনের খরচা ৩৭ রান। বাকিরা নিয়ন্ত্রিত বোলিং উপহার দেন। কাইল মায়ার্স ও ওবেড ম্যাককয়ের দুজনই ২৪ রানে একটি করে শিকার ধরেন। বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম উইকেটশূন্য থাকলেও মাত্র ২০ রান খরচ করেন।
Comments