বিপিএলের ট্রফি নিয়ে ফটোশুটে না যাওয়ায় দুঃখপ্রকাশ করলেন তামিম
![](https://tds-images-bn.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/images/2024/02/29/fads2497.jpg)
বিপিএলের ফাইনালের আগের দিন ট্রফি নিয়ে ফটোশুট ছিল ঢাকার ঐতিহাসিক স্থান আহসান মঞ্জিলে। তবে বিসিবির আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে উল্লেখ থাকলেও সেখানে উপস্থিত হননি দুই ফাইনালিস্ট দলের অধিনায়করা। প্রতিযোগিতার পেশাদারিত্বকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দেওয়া এই ঘটনার পর মুখ খুললেন তামিম ইকবাল। পূর্ব নির্ধারিত আয়োজনে না যাওয়ার জন্য দুঃখপ্রকাশ করলেন ফরচুন বরিশালের দলনেতা।
বৃহস্পতিবার বিপিএলের ট্রফি নিয়ে ফটোশুটের পাশাপাশি অধিনায়করা গণমাধ্যমের মুখোমুখি হবেন, এমনটা বিবৃতি দিয়ে উল্লেখ করেছিল বিসিবি। কিন্তু তামিমের পাশাপাশি ছিলেন না কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের দলনেতা লিটন দাস। দুই দলের দুই প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত হন মেহেদী হাসান মিরাজ ও জাকের আলী অনিক। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে সমালোচনা। অবশ্য এই চিত্র নতুন নয়। গত বছর বিপিএলের ফাইনালের আগে মেট্রোরেলে করা হয়েছিল অধিনায়কদের ফটোশুট। সেই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন কেবল একজন অধিনায়ক।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের স্বীকৃত পেজে বিসিবির আয়োজনে না যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন তামিম। তা তুলে ধরা হলো দ্য ডেইলি স্টারের পাঠকদের জন্য, 'বিপিএল ফাইনালের আগে ট্রফি উন্মোচনের আয়োজনের জন্য আজকে চমৎকার একটি জায়গা বেছে নিয়েছিল বিসিবি। তবে আমি সেখানে যেতে পারিনি, এজন্য দুঃখপ্রকাশ করছি বিসিবি, বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল ও বাংলাদেশ ক্রিকেটের সব অনুসারীর প্রতি। অধিনায়ক হিসেবে অবশ্যই আমার দায়িত্ব ছিল এরকম একটি আয়োজনে থাকা।
তবে গতকাল রাতেই আমরা কোয়ালিফায়ার ম্যাচ খেলেছি। ম্যাচ শেষে যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা সেরে হোটেলে ফিরতে আমাদের অনেক রাত হয়ে যায়। এরপর ফাইনালে ওঠার আনন্দ উদযাপনের জন্য দল থেকে বিশেষ আয়োজন ছিল। পাশাপাশি, অধিনায়ক হিসেবে আমার বাড়তি কিছু ব্যস্ততাও ছিল। সবকিছু শেষ করতেই আমার অনেকটা দেরি হয়ে যায়। সকাল সাড়ে আটটায় হোটেল থেকে বের হওয়া তাই সম্ভব ছিল না আমার পক্ষে। জায়গাটি যেহেতু একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা, ট্রফি উন্মোচনের আয়োজনটি নির্দিষ্ট ওই সময়েই করার কিছু বাধ্যবাধকতাও ছিল।
আমি ব্যক্তিগতভাবে সব সময়ই বিপিএলকে অনেক মূল্য দিয়েছি এবং এই টুর্নামেন্টকে ওপরে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। কখনোই এই টুর্নামেন্টকে কোনোভাবে খাটো করতে চাইনি। বিপিএলের জন্য কোনো কিছু করার সুযোগ পেলে ভবিষ্যতেও এগিয়ে আসার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। তবে আজকের পরিস্থিতিতে আমার কোনো উপায় ছিল না এবং এজন্য আবারও দুঃখপ্রকাশ করছি।'
পুরনো ঢাকার ইসলামপুরে যেখানে আহসান মঞ্জিল অবস্থিত, তার আশপাশ যানজটের জন্য বেশ পরিচিত। আগের দিন বুধবার বিসিবি বিবৃতি দেওয়ার পরপরই সেখানকার আয়োজনে উপস্থিতি কেমন হবে তা নিয়ে শঙ্কা জেগেছিল। তবে গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত থাকলেও যাদের জন্য আয়োজন তারাই থাকেননি।
আগামীকাল মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে বিপিএলের ফাইনালে মুখোমুখি হবে বরিশাল ও কুমিল্লা। খেলা শুরু সন্ধ্যা সাতটায়।
Comments