সরকারের সঙ্গে আলোচনা ব্যর্থ, চলবে ‘দিল্লি চলো’ রোডমার্চ

রোডমার্চে অংশ নেওয়া কৃষকদের একাংশ। ছবি: রয়টার্স
রোডমার্চে অংশ নেওয়া কৃষকদের একাংশ। ছবি: রয়টার্স

ভারতের কৃষকদের ইউনিয়নের সঙ্গে সরকারের আলোচনা ব্যর্থ হয়েছে। সরকারের দেওয়া প্রস্তাবগুলো নাকচ করে আবারও দিল্লি অভিমুখে রোডমার্চ করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ।

দ্য ডেইলি স্টারের নয়াদিল্লি প্রতিনিধি জানিয়েছেন, সরকার কৃষকদের কাছ থেকে ন্যুনতম সহায়তা মূল্যে (এমএসপি) আগামী পাঁচ বছর ডাল, ভুট্টা ও তুলা কেনার প্রস্তাব দিয়েছিল। এ ক্ষেত্রে কেনার পরিমাণে কোনো সর্বোচ্চ সীমার কথাও উল্লেখ করেনি সরকার।

তবে কৃষক নেতৃবৃন্দ জানান, এই প্রস্তাব তাদের স্বার্থের পরিপন্থী এবং তারা আগামীকাল আবারও বিক্ষোভ শুরু করবেন।

কিসান মজদুর মোর্চার নেতা সারওয়ান সিং পানধের পাঞ্জাব-হরিয়ানা সীমান্তের শম্ভু পয়েন্টে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের জানান, 'আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই আমাদের সমস্যাগুলোর সমাধান করতে অথবা ব্যারিকেড সরিয়ে দিতে, যাতে আমরা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের মাধ্যমে দিল্লির দিকে আগাতে পারি।'

রোববার সন্ধ্যায় কৃষক ইউনিয়নের সঙ্গে চতুর্থ দফা বৈঠকে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের তিন মন্ত্রী এই প্রস্তাব দিয়েছিলেন।

গত শুক্রবার সরকারের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রাখতে রোডমার্চ স্থগিত রাখার ঘোষণা দেয় কৃষক ইউনিয়ন। 

বৈঠক শেষে ভারতের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল সরকারের এই প্রস্তাবকে 'অভিনব' বলে উল্লেখ করেন।

অরাজনৈতিক সংগঠন সংযুক্ত কিসান মোর্চার (এসকেএম) নেতা জগজিৎ সিং দালেওয়াল চলমান 'দিল্লি চলো' বিক্ষোভের মূল সংগঠক। তিনি জানান, 'আমাদের এই দুই ফোরামের আলোচনা থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের প্রস্তাবে কৃষকদের স্বার্থ রক্ষা হচ্ছে না এবং এ কারণে আমরা তা নাকচ করছি।'

২০২০-২১ সালের সর্বশেষ কৃষক আন্দোলনেও নেতৃত্বও দিয়েছিল এসকেএম। সংগঠনটি দাবি করেছে, সরকারের এই সুনির্দিষ্ট কিছু পণ্যে এমএসপি সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাবের উদ্দেশ্য হল কৃষকদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করা ও মূল দাবি থেকে অন্য দিকে নজর সরিয়ে নেওয়া।

অপর নেতা সারওয়ান সিং পানধের 'দিল্লি চলো' বিক্ষোভের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, 'আমরা ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে আবারও দিল্লির দিকে শান্তিপূর্ণ যাত্রা শুরু করব।'

ট্রাক্টর নিয়ে রোডমার্চে অংশ নেন কয়েকজন কৃষক। ছবি: রয়টার্স
ট্রাক্টর নিয়ে রোডমার্চে অংশ নেন কয়েকজন কৃষক। ছবি: রয়টার্স

১২ তারিখে দিল্লি চলো রোডমার্চ শুরুর একদিন পর নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বিক্ষোভে অংশ নেওয়া কৃষকদের পাঞ্জাব-হরিয়ানা সীমান্তে আটকে দেয়।

এরপর থেকে সীমান্তেই অবস্থান করছেন কৃষকরা।

এমএসপির আইনি নিশ্চয়তার পাশাপাশি কৃষকরা একটি কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন, কৃষক ও খামারের শ্রমিকদের জন্য পেনশন সুবিধা, খামারিদের ঋণ মওকুফ, বিদ্যুতের মূল্য না বাড়ানোর নিশ্চয়তা, পুলিশি মামলা প্রত্যাহার, ২০১৩ সালের ভূমি অধিগ্রহণ আইন পুনর্বহাল ও ২০২০-২১ সালের বিক্ষোভে প্রাণ হারানো কৃষকদের পরিবারের সদস্যদের জন্য ক্ষতিপূরণের দাবিতে 'দিল্লি চলো' বিক্ষোভে অংশ নিচ্ছেন।

 

Comments

The Daily Star  | English

What's causing the unrest among factory workers?

Kalpona Akter, labour rights activist and president of Bangladesh Garment and Industrial Workers Federation, talks to Monorom Polok of The Daily Star about the recent ready-made garments (RMG) workers’ unrest.

8h ago