বীর মুক্তিযোদ্ধা ফতেহ আলী চৌধুরীর জানাজা কাল গুলশান আজাদ মসজিদে

ক্র্যাক প্ল্যাটুনের হয়ে ঢাকার প্রায় সবগুলো গেরিলা অপারেশনে অস্ত্র হাতে প্রত্যক্ষভাবে অংশ নেওয়া ৭৫ বছরের এই যোদ্ধার কণ্ঠ থেমে গেছে চিরকালের জন্য। ছবি: সংগৃহীত

সদ্যপ্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা ফতেহ আলী চৌধুরীকে আগামীকাল সোমবার বিকেলে ঢাকার মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হবে। এর আগে বাদ আসর গুলশান আজাদ মসজিদে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

মরহুমের বড় ভাই প্রয়াত সম্পাদক শাহাদত চৌধুরীর মেয়ে শাসা চৌধুরী আজ রোববার দ্য ডেইলি স্টারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গতকাল শনিবার ৭৫ বছর বয়সে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ঢাকায় মুহুর্মুহু গেরিলা আক্রমণ চালিয়ে পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের দোসরদের মনোবল গুঁড়িয়ে দেওয়া কিংবদন্তি ক্র্যাক প্লাটুনের এই সদস্য। তিনি নিউমোনিয়াসহ বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছিলেন। বিদেশ থেকে মেয়ে সিমিন চৌধুরীর ফেরার অপেক্ষায় তার মরদেহ হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে।

শাসা চৌধুরী বলেন, 'সোমবার বাদ আসর আজাদ মসজিদে জানাজা শেষ করে চাচাকে বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে নেওয়া হবে। সেখানে গান স্যালুটের পর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নির্ধারিত স্থানে তাকে দাফন করা হবে।'

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র থাকাকালে ফতেহ আলী চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। ঢাকায় ক্র্যাক প্লাটুনের প্রায় সব অভিযানের অংশ ছিলেন তিনি।

ফতেহ আলী চৌধুরীর আর দুই ভাই সম্পাদক শাহাদত চৌধুরী ও ডা. মোরশেদ চৌধুরীও ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তাদের মধ্যে শাহাদত চৌধুরী নিজেও ছিলেন ক্র্যাক প্লাটুনের সদস্য। মোরশেদ চৌধুরী আগরতলার মেলাঘরে ৪৮০ শয্যাবিশিষ্ট বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতালে আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসাসেবা দিতেন।

ঢাকার গেরিলাদের অনেকেই তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতেন এই মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের হাটখোলার বাসা থেকে। ২৯ আগস্ট ঢাকার গেরিলাদের ধরতে ঢাকার যে জায়গাগুলোতে অভিযান চালায় পাকিস্তানি বাহিনী, তার মধ্যে ওই বাসাটিও ছিল। ওই অভিযানে সেখান থেকে অস্ত্র উদ্ধার করে পাকিস্তানি সেনারা।

ফতেহ আলী চৌধুরী ছিলেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী বিভিন্ন প্রগতিশীল সামাজিক-সাংস্কৃতিক আন্দোলনের একজন অগ্রগামী ব্যক্তিত্ব।

Comments

The Daily Star  | English

Can Bangladesh retain its foothold in US market?

As Bangladesh races against a July 9 deadline to secure a lower tariff regime with the United States, the stakes could not be higher.

12h ago