অগ্নিসন্ত্রাসের সাক্ষী-প্রমাণ-মামলা নিশ্চিত করতে জনপ্রতিনিধিদের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

অগ্নি সন্ত্রাসের সাক্ষী-প্রমাণ-মামলা নিশ্চিত করতে জনপ্রতিনিধিদের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

অগ্নিসন্ত্রাসের মতো রাজনৈতিক সহিংসতার সাক্ষী-প্রমাণ সংগ্রহ করে মামলা নিশ্চিত করতে জনপ্রতিনিধিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ শনিবার সকালে গণভবনে আয়োজিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় অংশ নিয়ে তিনি এ আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমাদের একটি রাজনৈতিক দল, দেখা যাচ্ছে তাদের মাথা নাই; মাথাটা দেশে নাই। মাথাটা হচ্ছে সাত সমুদ্র তের নদীর পাড়ে। আর সেখান থেকে হুকুম দেয়, আর এরা জ্বালাও-পোড়াও করে। তবে এবার একটা ভালো কাজ করেছে; আগে তো হঠাৎ চুপিসারে আগুন দিতো গাড়িতে, রেলে, সব জায়গায়। এবার তারা প্রকাশ্যে দিয়ে আবার ছবি তোলে।

'কারণ তাদের গুরু ওই লন্ডন থেকে বলে দিয়েছে, ছবি পাঠাতে হবে। এটা বলে দেওয়াতে সুবিধা হয়ে গেছে, এরা যে আগুন দিচ্ছে, সেই ছবি আর সেই এভিডেন্সটা পাওয়া যাচ্ছে,' বলেন প্রধানমন্ত্রী।

জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, 'আপনাদের যে যে এলাকায় এই ঘটনাগুলো ঘটেছে, তারা এগুলো জোগাড় করে এই মামলাগুলো যেন ঠিক মতো চলে এবং শাস্তিটা যেন পায়...তাদের নেতাই তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করে দিয়েছে। কাজেই এখন কাকে দোষ দেবে? কারণ নেতাকে খুশি করতে ছবি তুলেছে, সেটা পাঠিয়ে দিয়েছে আর এখন তো ডিজিটাল সিস্টেমে আপনি যেভাবেই পাঠান, এগুলো কিন্তু সংগ্রহ করা কোনো কঠিন ব্যাপার না। কাজেই সেভাবে এভিডেন্সগুলো আছে।'

শেখ হাসিনা বলেন, '২০১৩ সালের মামলাগুলো; ২০০১ সালে নির্বাচনের পর বিএনপি-জামায়াত আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচার করেছিল, মেয়েদের ওপর পৈশাচিক অত্যাচার করেছিল, সেই মামলা এখনো অনেকগুলো রয়ে গেছে।

'মামলাগুলো যাতে যথাযথভাবে হয়, এর সাক্ষী-সবুত যাতে হয় এবং এই দুষ্কৃতিকারীরা যেন যথাযথ শাস্তি পায়, ভবিষ্যতে আর কোনো দিন কোনো মানুষের গায়ে আগুন দেওয়া-কোনো রাষ্ট্রীয় সম্পদে আগুন দেওয়ার সাহস যেন না পায়, সেই ব্যবস্থাটাই আমাদের করতে হবে,' যোগ করেন শেখ হাসিনা।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, 'জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, মাদক, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে রুখে দাঁড়াতে হবে। কারণ দুর্নীতির অর্থ কোনো ভালো কাজে লাগে না। বরং যারা অর্থ কামাবেন তাদের সন্তানরাই বিপথে যাবে। কাজেই এই বদনামটা যাতে না নেওয়া হয়। সেদিকে আপনাদের সবাইকে দৃষ্টি দিতে হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

What if the US election ends in a Trump-Harris tie?

While not highly likely, such an outcome remains possible, tormenting Americans already perched painfully on the edge of their seats ahead of the November 5 election

3h ago