গিলের সেঞ্চুরিতে বিশাল লক্ষ্য পাওয়া ইংল্যান্ডের ভালো শুরু

ছবি: এএফপি

প্রথম ইনিংসে যশস্বী জয়সওয়াল ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকালেও আর কেউ ফিফটিও ছুঁতে পারেননি। দ্বিতীয় ইনিংসেও প্রায় একই চিত্রের দেখা মিলল। শুবমান গিল সেঞ্চুরি করলেও হাফসেঞ্চুরি পর্যন্ত যেতে পারলেন না বাকিরা। টম হার্টলি ও রেহান আহমেদের স্পিনে আটকা পড়ে আড়াইশ পেরিয়ে থামল ভারত। তবে প্রথম ইনিংসে পাওয়া বড় লিডের সুবাদে ইংল্যান্ডকে বিশাল লক্ষ্য ছুঁড়ে দিল তারা।

রোববার বিশাখাপত্তনম টেস্টের তৃতীয় দিনের শেষ ঘণ্টায় নেমে ১৪ ওভার খেলেছে ইংলিশরা। ইতিবাচক ঘরানায় ব্যাট করে ১ উইকেট হারিয়ে তারা তুলেছে ৬৭ রান। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে উইকেটরক্ষক শ্রিকার ভরতকে বেন ডাকেট ক্যাচ দিলে ভাঙে ৫০ রানের উদ্বোধনী জুটি। ডাকেটের ব্যাট থেকে আসে ২৭ বলে ২৮ রান।

আরেক ওপেনার জ্যাক ক্রলি ৫০ বলে ২৯ রানে অপরাজিত আছেন। তার সঙ্গে নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নামা রেহান আহমেদ খেলছেন ৮ বলে ৯ রানে। জয়ের জন্য আরও ৩৩২ রান চাই সফরকারীদের। এই টেস্টের আরও দুদিন বাকি থাকায় জয়-পরাজয় নির্ধারিত হওয়া একরকম নিশ্চিতই।

জিততে হলে রেকর্ড গড়তে হবে ইংল্যান্ডকে। টেস্টে এত বড় লক্ষ্যের পেছনে ছুটে কখনোই শেষ হাসি হাসতে পারেনি তারা। ক্রিকেটের এই সংস্করণে দলটির সর্বোচ্চ রান তাড়ার কীর্তি অবশ্য ভারতের বিপক্ষেই। ২০২২ সালে এজবাস্টনে ৩৭৮ রানের লক্ষ্য স্পর্শ করে ৭ উইকেটে জিতেছিল ইংলিশরা। বাজবল কৌশল গ্রহণ করে দ্বিতীয় ইনিংসে ওভারপ্রতি প্রায় পাঁচ গড়ে রান তুলেছিল তারা। অপরাজিত সেঞ্চুরি করেছিলেন জো রুট ও জনি বেয়ারস্টো।

এর আগে দিনের তৃতীয় সেশনে ২৫৫ রানে অলআউট হয় ভারত। আগের দিনের বিনা উইকেটে ২৮ রান নিয়ে খেলতে নেমেছিল দলটি। প্রথম ইনিংসে তাদের লিড ছিল ১৪৩ রানের। ফলে সব মিলিয়ে তাদের লিড দাঁড়ায় ৩৯৮ রান। বাজে সময় পেরিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরির স্বাদ নেন গিল। তিনে নেমে ১০৪ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ১৪৭ বল মোকাবিলায় ১১ চার ও ২ ছক্কা হাঁকান ডানহাতি ব্যাটার।

গিলের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৫ রান আসে অক্ষর প্যাটেলের ব্যাট থেকে। বাঁহাতি স্পিনার হার্টলি ৪ উইকেট নেন ৭৭ রানে। ৩ শিকার ধরতে লেগ স্পিনার রেহান আহমেদের খরচা ৮৮ রান। এছাড়া, পেসার জেমস অ্যান্ডারসন দুটি ও অফ স্পিনার শোয়েব বশির একটি উইকেট পান।

 

দিনের শুরুতে ভারতকে জোড়া ধাক্কা দেন অভিজ্ঞ অ্যান্ডারসন। নিজের পরপর দুই ওভারে সাজঘরে পাঠান ভারতের দুই ওপেনারকে। অধিনায়ক রোহিত শর্মা বোল্ড হওয়ার পর জয়সওয়াল ক্যাচ দেন প্রথম স্লিপে। আঘাত সামলে ৮১ রানের জুটি গড়েন গিল ও শ্রেয়াস আইয়ার। চালিয়ে খেলে গিল হাফসেঞ্চুরি পূরণ করেন ৬০ বলে।

শ্রেয়াসকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন হার্টলি। অভিষিক্ত রজত পতিদার সুবিধা করতে পারেননি। তার উইকেটটি নেন রেহান। এরপর ফের ইনিংস মেরামতে মনোযোগী হন গিল। সঙ্গী হিসেবে পান অক্ষরকে। তবে তাদের ৮৯ রানের জুটি বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে ভারত। স্রেফ ৪৪ রানে তাদের শেষ ৬ উইকেট তুলে নেয় ইংল্যান্ড।

ছন্দপতনের শুরুটা গিলকে দিয়েই। ১৩২ বলে সেঞ্চুরি পূরণের পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি। রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে বশিরের বলে উইকেটরক্ষক বেন ফোকসের গ্লাভসবন্দি হন। ২০২৩ সালের মার্চে আহমেদাবাদে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেঞ্চুরির পর থেকে টেস্টে রানখরায় ভুগছিলেন গিল। সবশেষ ১২ ইনিংসে ছিল না কোনো ফিফটি। ব্যর্থতার সেই বৃত্ত ছাপিয়ে দলের শক্ত অবস্থান নিশ্চিত করেন তিনি।

বাকি ৫ উইকেট ভাগাভাগি করে নেন হার্টলি ও রেহান। অক্ষর, কুলদীপ যাদবের পর জাসপ্রিত বুমরাহকে আউট করেন হার্টলি। ভরতের পর অশ্বিনকে ঝুলিতে পুরে ভারতের ইনিংসের ইতি টানেন রেহান।

Comments

The Daily Star  | English

Can't afford another lost decade for education

Whenever the issue of education surfaces in Bangladesh, policymakers across the political spectrum tend to strike a familiar chord. "Education is our top priority," they harp

3h ago