নানা নাটকীয়তার পর বিপিএলে ফিরছেন মালিক

শোয়েব মালিক। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

গত সপ্তাহে বিপিএল ছেড়ে দুবাই চলে যাওয়া শোয়েব মালিক ফিরছেন ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি আসরটিতে। নানা নাটকীয়তার পর পাকিস্তানের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার আগামী শুক্রবার ফরচুন বরিশাল দলে যোগ দেবেন।

বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বরিশাল কর্তৃপক্ষ। বিপিএলের সিলেট পর্বে দলটির আর একটি ম্যাচ বাকি আছে। আগামী শনিবার সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে তারা মুখোমুখি হবে খুলনা টাইগার্সের। সেদিন মাঠে দেখা যেতে পারে ৪১ বছর বয়সী মালিককে।

গত বৃহস্পতিবারই বরিশাল জানিয়েছিল, চলতি বিপিএলে আর খেলতে দেখা যাবে না মালিককে। কিন্তু এক সপ্তাহ পার হওয়ার আগেই তাকে ফিরিয়ে আনার ঘোষণা দেওয়া হলো। বিপিএল ছেড়ে দুবাই যাওয়ার আগে তিন ম্যাচে ব্যাট হাতে ২৯ রানের সঙ্গে বল হাতে ১ উইকেট শিকার করেছিলেন তিনি।

বিপিএলের ঢাকা পর্ব শেষে পারিবারিক কাজে দুবাই যান মালিক। এরপর জানা যায়, আগামী ৪ ফেব্রুয়ারির আগে তিনি ফিরতে পারবেন না। এতে তাকে বাংলাদেশে আবার আসতে নিষেধ করে দেওয়া হয় বরিশাল ফ্র্যাঞ্চাইজির পক্ষ থেকে।

কিন্তু মালিককে নিয়ে আলোচনা সেখানেই থামেনি। গুঞ্জন শুরু হয় তার সন্দেহজনক বোলিং নিয়ে। গত ২২ জানুয়ারি মিরপুরে মুখোমুখি হয়েছিল বরিশাল। সেদিন মালিক বল হাতে মাত্র এক ওভার করে দিয়েছিলেন ১৮ রান। ওই ওভারে একটি-দুটি নয় তিনটি নো বল করেছিলেন তিনি। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে বরিশালের পরের ম্যাচে আর তাকে বোলিংয়ে আনা হয়নি।

মালিক দুবাই যাওয়ার পর দেশের একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে বরিশালের স্বত্বাধিকারী মিজানুর রহমান জানান, মালিকের ওই ওভার নিয়ে আকসুর (আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিট) অবশ্যই তদন্ত করা উচিত। কিন্তু পরদিনই বিস্ময় জাগিয়ে নিজের অবস্থান বদলে ফেলেন মিজানুর। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বরিশালের স্বীকৃত পেজে পোস্ট করা একটি ভিডিও বার্তায় তিনি মালিকের প্রশংসার পাশাপাশি প্রতিবাদ করেন গুঞ্জনের।

এরপর মালিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে নিজের প্রতিক্রিয়া জানান। তিনিও ছড়িয়ে পড়া বিতর্কের তীব্র প্রতিবাদ করেন। পাশাপাশি বরিশাল দলকে পরের ম্যাচগুলোর জন্য শুভকামনা জানান।

পাঁচ ম্যাচে দুই জয়ে বরিশালের পয়েন্ট ৪। তারা রয়েছে বিপিএলের পয়েন্ট তালিকার পঞ্চম স্থানে।

Comments

The Daily Star  | English

Pathways to the downfall of a regime

The erosion in the credibility of the Sheikh Hasina regime did not begin in July 2024.

9h ago