গ্রেপ্তারকৃত রাজনৈতিক কর্মীদের স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিতের আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গ্রেপ্তার হওয়া রাজনৈতিক কর্মীদের জন্য সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
গতকাল মঙ্গলবার ওয়াশিংটন ডিসিতে এক ব্রিফিংয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া খর্বে বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র কী পদক্ষেপ নিচ্ছে জানতে চাইলে এ মন্তব্য করেন তিনি।
নির্বাচনের আগে বাংলাদেশে আটক রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের আহ্বানের কথাও উল্লেখ করেন ওই সাংবাদিক।
বিএনপির মতে, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে কারচুপির জন্য সরকার বিএনপি নেতাকর্মীসহ বিরোধী দলের প্রায় ২৫ হাজার নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।
মিলার বলেন, 'আমরা বাংলাদেশ সরকারকে বিরোধী দলের সদস্য এবং গণমাধ্যম পেশাজীবী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং নাগরিক জীবনে অর্থবহ অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি এবং আমরা এই দৃষ্টিভঙ্গিকে এগিয়ে নিতে বাংলাদেশ সরকারের সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রাখব।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু না হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র এর আগেও এনিয়ে তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছে। ওই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হাজার হাজার বিরোধী রাজনৈতিক সদস্যের গ্রেপ্তার নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
তিনি বলেন, গণতন্ত্র শান্তি, সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তাকে এগিয়ে নিয়ে যায় এবং এটি মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির মূলে রয়েছে।
'আমরা গণতান্ত্রিক নীতিকে এগিয়ে নিতে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সম্পৃক্ততা বজায় রেখেছি, যা সব বাংলাদেশির শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করার চাবিকাঠি।'
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে এক হয়ে বাংলাদেশের নির্বাচনে হস্তক্ষেপের বিষয়ে কানাডিয়ান তদন্তে ভারতের অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে এক প্রশ্নের তিনি কোনো জবাব দেননি।
'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় টিকাতে ভারতের সম্পৃক্ততা' এবং ভারতের প্রভাবে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে গণতন্ত্র বিকাশের নীতি থেকে পিছু হটছে বলে সমালোচকদের এমন দাবি প্রসঙ্গে মিলারের প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছিলেন সাংবাদিক।
মিলার বলেন, 'আপনি যে কানাডিয়ান তদন্তের কথা উল্লেখ করেছেন, সে বিষয়ে আমার কাছে কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। এটা কানাডার কথা বলার বিষয়।'
Comments