বিপিএল

মালিককে নিয়ে ওঠা বিতর্কের প্রতিবাদ জানালেন বরিশালের স্বত্বাধিকারী

ছবি: সম্পাদিত

বিপিএল ছেড়ে যাওয়া শোয়েব মালিকের সন্দেহজনক বোলিং নিয়ে চর্চা চলছে গত কয়েক দিন ধরে। তবে পাকিস্তানের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডারকে নিয়ে ওঠা বিতর্ক উড়িয়ে দিলেন ফরচুন বরিশালের স্বত্বাধিকারী মিজানুর রহমান। প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বললেন, মালিক নিজের সেরাটাই নিংড়ে দিয়েছেন বরিশালকে।

এবারের বিপিএলে মালিককে আর দেখা যাবে না। বরিশালের হয়ে ঢাকায় অনুষ্ঠিত প্রথম পর্বে তিনটি ম্যাচ খেলে তিনি গিয়েছিলেন দুবাইতে। ব্যক্তিগত কাজ সেরে সিলেট পর্বে দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু এক বিবৃতিতে বরিশাল ফ্র্যাঞ্চাইজির পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে তার না ফেরার বিষয়টি।

গত ২২ জানুয়ারি মিরপুরে খুলনা টাইগার্সের মুখোমুখি হয়েছিল বরিশাল। সেদিন মালিক বল হাতে মাত্র এক ওভার করে দিয়েছিলেন ১৮ রান। ওই ওভারে একটি-দুটি নয় তিনটি নো বল করেছিলেন তিনি। সেই থেকে তাকে নিয়ে সন্দেহের সূচনা। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে বরিশালের পরের ম্যাচে আর মালিককে বোলিংয়ে আনা হয়নি। এরপর দুবাই গিয়ে তিনি বিপিএলে না ফেরায় সন্দেহ মেলেছে ডালপালা।

এই প্রসঙ্গে বিস্তারিত কিছু না জানালেও মালিকের বিরুদ্ধে চলমান গুঞ্জনের প্রতিবাদ জানিয়েছেন বরিশালের কর্ণধার। শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বরিশালের স্বীকৃত পেজে পোস্ট করা একটি ভিডিও বার্তায় মিজানুর বলেছেন, 'গত কয়েক দিন আমরা কথাবার্তা শুনছি শোয়েব মালিককে নিয়ে। আমি ওইটার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। শোয়েব মালিক একজন ভালো খেলোয়াড় এবং সে তার সর্বোচ্চ খেলাটাই আমাদেরকে দিয়েছে। তো এটা নিয়ে আমরা আর আলোচনা না করি।'

নো বল বিতর্ক ছাড়াও গুঞ্জন রয়েছে, ৪১ বছর বয়সী মালিক ঢাকায় অনুষ্ঠেয় দ্বিতীয় পর্ব থেকে দুর্দান্ত ঢাকা ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বিপিএলের মাঝপথে তাকে দল পাল্টানোর অনুমতি দেয়নি বরিশাল। এই প্রসঙ্গেও মিজানুর কিছু বলেননি। তবে জানা গেছে, বরিশাল তার প্রস্তাবে রাজী না হওয়াতেই আর বিপিএলে ফেরেননি মালিক।

চলমান আসরের প্রথম ম্যাচ জিতলেও পরের দুটিতে হেরেছে বরিশাল। এমন পরিস্থিতিতে মাঠের খেলায় মনোযোগী হওয়ার বার্তা দিয়েছেন দলটির স্বত্বাধিকারী, 'আমরা যেহেতু পরপর দুটো ম্যাচ হেরে গিয়েছি, আমাদের উচিত আমাদের পরবর্তী ম্যাচগুলোর ওপর মনোযোগ দেওয়া। আমরা যেন ভালো খেলতে পারি এজন্য আমি সবার কাছে দোয়া চাচ্ছি। আমরা যেন পরের ম্যাচ জিততে পারি এবং ফাইনাল খেলতে পারি।'

Comments

The Daily Star  | English

Pathways to the downfall of a regime

The erosion in the credibility of the Sheikh Hasina regime did not begin in July 2024.

8h ago