কুয়াশাচ্ছন্ন ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গা, ঠান্ডা আরও বাড়বে

কুয়াশাচ্ছন্ন ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গা, ঠান্ডা আরও বাড়বে
শীতে জবুথবু জনজীবন | ছবি: এমরান হোসেন/স্টার

রাজধানী ঢাকায় সকালে বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ, যে কারণে সকাল পর্যন্ত কুয়াশাচ্ছন্ন হয়ে ছিল চারপাশ।

ঢাকা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন জায়গা কুয়াশাচ্ছন্ন হয়ে আছে। আজ বুধবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী আরও অন্তত দুই দিন এই একই রকম কুয়াশা পড়বে।

পূর্বাভাস অনুসারে, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। কুয়াশা কমতে কোথাও কোথাও দুপুর হয়ে যেতে পারে।

ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন ও সড়ক পথে যোগাযোগ বিঘ্নিত হতে পারে।

আবহাওয়াবিদদের মতে, আগামী দুই দিন রাতের তাপমাত্রা তুলনামূলক বেশি থাকবে, ঠান্ডা লাগবে দিনে।

আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'শুক্রবার থেকে ঠান্ডার প্রবণতা বাড়বে।'

আজ ও আগামীকাল বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মূলত দক্ষিণাঞ্চলে, অর্থাৎ খুলনা ও বরিশাল বিভাগে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। তবে লাগোয়া বিভাগ হিসেবে চট্টগ্রাম ও ঢাকা বিভাগের সামান্য বৃষ্টি হতে পারে।'

তিনি বলেন, 'বৃষ্টির পরে তাপমাত্রা কিছুটা হ্রাস পেতে পারে।'

গতকাল চুয়াডাঙ্গায় চলতি মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছয় দশমিক ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এদিন তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আট দশমিক চার ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এ সময় ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক চার ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে, কিশোরগঞ্জ ও চুয়াডাঙ্গা জেলা এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

আজ সকালে কুড়িগ্রামের রাজারহাটে আট দশমিক পাঁচ, কিশোরগঞ্জের নিকলী, নওগাঁর বদলগাছী, রাজশাহী ও চুয়াডাঙ্গায় নয় ডিগ্রি, ঈশ্বরদীতে নয় দশমিক তিন, বগুড়ায় নয় দশমিক আট এবং নীলফামারীর সৈয়দপুরে নয় দশমিক দুই ও ডিমলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল নয় দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

Comments

The Daily Star  | English

Eid meat: Stories of sacrifice, sharing and struggle

While the well-off fulfilled their religious duty by sacrificing cows and goats, crowds of people -- less fortunate and often overlooked -- stood patiently outside gates, waiting for a small share of meat they could take home to their families

12h ago