মানিকগঞ্জ-২

ইসির নির্দেশে মমতাজের দুই কর্মীর বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার মামলা

মানিকগঞ্জ
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ-২ আসনের আওয়ামী লীগের পরাজিত প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য, কন্ঠশিল্পী মমতাজ বেগমের দুই সমর্থকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সৈয়দ গোলাম রাশেদ হরিরামপুর থানায় মামলাটি করেন। নৌকার প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনে কাজ না করায় এক ব্যক্তিকে মারধর ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগে নির্বাচন কমিশন (ইসি) এ মামলা করার নির্দেশ দেন বলে জানান তিনি।

মামলার আসামিরা হলেন—যুবলীগ হরিরামপুর উপজেলা কমটিরি যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদ মোল্লা (৪০) ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিফাত চৌধুরী (৩৫)।

তারা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ-২ আসনে নৌকার প্রার্থী মমতাজ বেগমের কর্মী হিসেবে কাজ করেছেন।

ইসির চিঠিতে বলা হয়, গত ২৬ ডিসেম্বর মানিকগঞ্জ-২ আসনে নৌকা প্রতীকের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে অস্বীকৃতি জানালে সাখাওয়াত হোসেনকে শারীরিকভাবে আঘাত ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থক ফরিদ মোল্লা ও রিফাত চৌধুরী। তারা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২–এর অনুচ্ছেদ ৭৩ বিধান লঙ্ঘন করেছেন মর্মে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি নির্বাচন কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সৈয়দ গোলাম রাশেদ জানান, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মোতাবেক হরিরামপুর থানায় তিনি এজাহার দায়ের করেছেন।

মামলা নথিভুক্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হরিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্তকর্তা শাহ নূর-এ আলম।

তিনি বলেন, 'আজ বিকেলে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এ সংক্রান্ত একটি মামলা করেছেন। এতে নৌকার সমর্থক ফরিদ ও রিফাতকে আসামি করা হয়েছে।'

এদিকে মানিকগঞ্জ-২ আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধানী কমিটি ট্রাক প্রতীকের প্রার্থীর কর্মীকে প্রাণনাশের হুমকির ঘটনায় একটি প্রতিবেদন ইসিতে পাঠায়। ওই প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১১ জানুয়ারি ইসির আদেশক্রমে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপসচিব (আইন) মো. আবদুছ সালামের সই করা এক চিঠিতে হরিরামপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা করার নির্দেশ দেন। মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপারকে সংশ্লিষ্ট থানায় এজাহার গ্রহণ করে ইসিকে নিশ্চিত করতেও বলা হয়েছে।

এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মমতাজ বেগমের বিপরীতে জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ দেওয়ান জাহিদ আহমেদ (টুলু) স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ৭ জানুয়ারি ভোটে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মমতাজ বেগমকে হারিয়ে সংসদ সদস্য হন ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রোর্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু।

Comments