ইজতেমায় ২ গ্রুপ যদি একসঙ্গে খেতে পারতেন, খুশি হতাম: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

বিশ্ব ইজতেমা আয়োজনে প্রস্তুতি পর্যালোচনা সভায় অতিথিরা। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্ব ইজতেমা আয়োজনে প্রস্তুতি পর্যালোচনা সভায় তাবলিগ জামাতের দুটি গ্রুপকে উদ্দেশ্য করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, 'আপনাদের মনোভাব পরিবর্তন হয়নি। দুই গ্রুপ যদি একসঙ্গে খেতে পারতেন, আমরা খুশি হতাম। দুই গ্রুপকে যদি আপনারা মিলিয়ে দিতে পারেন, আমরা খুশি হবো।'

আজ সোমবার টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা মাঠ সংলগ্ন বাটা গেইট রোডে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'আমি প্রথম গ্রুপকে বলবো, সুন্দরভাবে মাঠ বুঝিয়ে দেবেন। দুপুর পর্যন্ত না গড়িয়ে সকাল থেকেই মাঠ বুঝিয়ে দেবেন।'

তিনি আরও বলেন, 'এই ইজতেমা বাংলাদেশে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। আমরা আয়োজন সুসম্পন্ন করতে পেড়েছি। আমি অনুরোধ করবো, আপনারা মিলেমিশে চলবেন এবং মিলেমিশে চলার শিক্ষা দেবেন।'

এবারের ইজতেমার প্রথম পর্ব (জোবায়ের) অনুষ্ঠিত হবে ২ থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি এবং দ্বিতীয় পর্ব (সাদ) অনুষ্ঠিত হবে ৯ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি।

ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের দুর্ভোগ কমাতে বিকল্প রাস্তা হিসেবে ভোগড়া বাইপাস রাস্তার কাজ বন্ধ রেখে যান চলাচল চালুর পরামর্শ দেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক মোজাম্মেল হক।

ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেন, 'অতীতের ভুলগুলো খেয়াল রাখতে হবে। আজ ইজতেমায় দুই গ্রুপ হওয়ায় অসঙ্গতি হচ্ছে। দুই গ্রুপের বিভেদ দুঃখজনক।'

ইজতেমা তদারকি কমিটির সমন্বয়ক ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলাম জানান, পয়ঃনিস্কাশনের বিষয়ে ওয়াসার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।

ইজতেমা মাঠ বুঝিয়ে দেওয়ার বিষয়ে প্রথম পর্বের প্রতিনিধি খন্দকার মেজবাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, 'ইজতেমা মানুষের রক্তের সঙ্গে, মনের সঙ্গে মিশে গেছে। প্রথম পর্ব শেষে মাঠ হস্তান্তরের সময় কোনো সমস্যা হবে না।'

দ্বিতীয় পর্বের প্রতিনিধি ড. মোহাম্মদ আব্দুস সালাম অভিযোগ করেন, 'গতকাল প্রথম পর্বের লোকজন উত্তরায় আমাদের একজনকে মারধর করেছে। আহত অবস্থায় তিনি পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।'

তিনি আরও বলেন, 'সোমবার বা মঙ্গলবার বাদ মাগরিব আমাদের কাছে মাঠ বুঝিয়ে দিতে অনুরোধ করছি।'

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) উপ-পুলিশ কমিশনার আবুল বাশার মো. আতিকুল রহমান জানান, ইজতেমায় এবার ২০০টি স্মার্ট সিসিটিভি ক্যামেরা থাকবে।

জিএমপি কমিশনার মাহবুবুর রহমান বলেন, 'বিদেশি মেহমানদের বিষয়ে আরও বেশি খেয়াল রাখতে হবে, যাতে বিদেশে আমাদের ইজ্জত থাকে।'

গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

 

Comments

The Daily Star  | English

For the poor, inflation means a daily struggle

As inflation greets Bangladeshis at breakfast time, even the humble paratha becomes a symbol of struggle. Once hearty and filling, it now arrives thinner and lighter -- a daily reminder of the unending calculations between hunger and affordability.

7h ago