বিশ্বব্যাংকের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক পদ ছাড়তে চান আহমদ কায়কাউস

আহমদ কায়কাউস

বিশ্বব্যাংকের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ইচ্ছা পোষণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস। মঙ্গলবার প্রশাসনের শীর্ষ একাধিক কর্মকর্তার সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এ পদে নিয়োগ পেতে সাবেক ও বর্তমান অন্তত তিন শীর্ষ কর্মকর্তা তদবির চালাচ্ছেন বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার বিকেলে আহমদ কায়কাউসের সঙ্গে দ্য ডেইলি স্টারের কথা হয়েছে। তিনি বিশ্বব্যাংকের পদ ছাড়তে চাওয়ার কথা স্বীকার করেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক এই শীর্ষ কর্মকর্তা নির্বাচনের আগে দেশে এসেছিলেন। তিনি গত ১১ জানুয়ারি বিশ্বব্যাংকের পদে থাকতে চান না বলে সরকারকে জানিয়েছেন। তিনি এখনো দেশেই অবস্থান করছেন। আগামী সপ্তাহে তার যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার কথা রয়েছে।

আহমদ কায়কাউস ডেইলি স্টারকে বলেন, আমি যে পদটিতে আছি এখান থেকে পদত্যাগ করার কোন বিষয় নেই। আমার নিয়োগ চুক্তিভিত্তিক। আমি ব্যক্তিগত কারণে চুক্তি বাতিলের জন্য সরকারের বারবার আবেদন করেছি, কিন্তু এখনো পর্যন্ত এ সংক্রান্ত কোনো ফিরতি বার্তা পাইনি।

গত বছরের ডিসেম্বর মাসে আহমদ কায়কাউসকে তিন বছরের জন্য বিশ্বব্যাংকের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। তার আগে পর্যায়ক্রমে একাধিক মন্ত্রিপরিষদ সচিব এ পদে চাকরি করে এসেছেন। মর্যাদা ও আর্থিক সুযোগ-সুবিধার কারণে এই পদ নিয়ে সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে আগ্রহ থাকে। এই পদে প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিবের নিয়োগ সেদিক থেকে কিছুটা ব্যতিক্রম ছিল।

সচিবালয়ে গুঞ্জন আছে, আহমদ কায়কাউস সরকারের আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেতে পারেন। কিন্তু তিনি কোন ধরনের দায়িত্ব পেতে পারেন, তা নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি।

সরকারের গুরুত্বপূর্ণ একটি দপ্তরের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডেইলি স্টারকে বলেন, বিশ্বব্যাংকের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক হিসেবে নিয়োগ বা চুক্তি বাতিল, যেটিই হোক না কেন, নিশ্চিতভাবে ধরে নিতে হবে সেটি সরকার প্রধানের সম্মতিতে হচ্ছে। এদিক থেকে বলা যায়, আহমদ কায়কাউস হয়তো বড় কোনো দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন।

আলোচনায় যাদের নাম

আহমদ কায়কাউসের নিয়োগের চুক্তি বাতিল হলে বিশ্বব্যাংকের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক হিসেবে তিন জনের নাম আলোচনায় আছে। তারা হলেন, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, বর্তমান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন এবং প্রধানমন্ত্রীর বর্তমান মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।

Comments

The Daily Star  | English
govt employees punishment rule

Govt employees can now be punished for infractions within 14 working days

Law ministry issues ordinance amending the Public Service Act, 2018

2h ago