ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৩

পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী ওলিও’র বিরুদ্ধে গণপূর্ত মন্ত্রী মোকতাদিরের মানহানি মামলা

গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির (বামে) ও ফিরোজুর রহমান ওলিও (ডানে)। ছবি: সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমান ওলিও'র বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলা করেছেন একই আসনে জয়ী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এবং নবনিযুক্ত গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া যুগ্ম-জেলা জজ নজরুল ইসলামের আদালতে এ মামলা করা হয়।

আজ শুক্রবার মন্ত্রী মোকতাদিরের আইনজীবী আব্দুল জব্বার মামুন দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

র আ ম উবায়দুল মোকতাদির এ আসনে আওয়ামী লীগের হয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয়লাভ করেন।

আইনজীবী মামুন জানান, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আগামী রোববার শুনানির দিন ধার্য করেছেন।

তিনি বলেন, 'প্রায় ৩০-৩৫ বছর আগে ফিরোজুর রহমান সংসদ সদস্য মোকতাদির চৌধুরীকে ৫০ হাজার টাকা সাহায্য করেছিলেন এবং প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্ববিদ্যালয়েও টাকা দিয়েছিলেন বলে গত ২৬ ডিসেম্বর নির্বাচনী প্রচারণার সময় তার বক্তব্যে দাবি করেছেন। তার এই দাবি সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রনোদিত এবং মিথ্যা।'

এই আইনজীবী বলেন, 'ফিরোজুর রহমানের এই আপত্তিকর বক্তব্যে সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সম্মানহানি হয়েছে। তাই ফিরোজুর রহমানকে তার আপত্তিকর বক্তব্য প্রত্যাহার করে মোকতাদির চৌধুরীর কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার জন্য গত ২৮ ডিসেম্বর থেকে তাকে পরপর তিনটি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু, তিনি এতে সাড়া না দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।'

উল্লেখ্য, ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এক লাখ ৫৮ হাজার ৮৭২ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার বিপরীতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করা স্বতন্ত্র প্রার্থী লায়ন ফিরোজুর রহমান ওলিও পেয়েছেন ৬৪ হাজার ৩৭ ভোট। 

র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।

Comments

The Daily Star  | English

IMF loan tranches: Agreement with IMF at last

The government has reached a staff-level agreement with the International Monetary Fund for the fourth and fifth tranche of the $4.7 billion loan programme, putting to bed months of uncertainty over their disbursement.

8h ago