এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা ৯ ফেব্রুয়ারি, ১ মাস আগে থেকে বন্ধ থাকবে কোচিং

এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা ৯ ফেব্রুয়ারি, ১ মাস আগে থেকে বন্ধ থাকবে কোচিং
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

আগামী বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি মেডিকেল কলেজগুলোতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

তিনি জানান, ৯ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টায় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে আজ রোববার সকালে সচিবালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, 'আপনারা নিশ্চয়ই দেখেছেন, গত পাঁচ বছরে মেডিকেল পরীক্ষার বিষয়ে কারও কোনো রকমের অভিযোগ ছিল না। প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়ে পত্র-পত্রিকায় যেটা দেখছি, সেটা কিন্তু ২০১০ সালের ঘটনা। ২০১০ সালের ঘটনা এখন বলা হয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে পরীক্ষা পদ্ধতি আমরা অনেক উন্নত করেছি। অত্যাধুনিক করা হয়েছে, এখানে ডিজিটাল পদ্ধতিতে সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করা হয়। যেখানে প্রশ্ন প্রস্তুত করা হয়, বিশেষ কয়েকজনের মধ্যে সেটা সীমাবদ্ধ থাকে। এমনভাবে করা হয়, ওখানে কেউ ঢুকতেও পারে না আর যারা প্রশ্ন তৈরি করে তারাও ওখান থেকে বের হয় না; প্রশ্ন বণ্টন হয়ে যাওয়ার পরে তারা বের হতে পারে।'

তিনি বলেন, 'একজন প্রশ্নকারী একটা প্রশ্ন করে, অন্যরা সেটা জানেও না যে আরেকজন কী প্রশ্ন করল। যে পদ্ধতিতে প্রশ্নগুলো বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হয় এবং যেভাবে খোলার ব্যবস্থা সেগুলো সবই ডিজিটাল পদ্ধতিতে। কেউ যদি আগে খোলার চেষ্টা করে, নেওয়ার চেষ্টা করে—ডিজি অফিসে ট্র্যাকিং সিস্টেম আছে।

'আশা করি যেভাবে বিগত দিনগুলোতে করতে পেরেছি, সেভাবে করা হবে এবং সবার সহযোগিতা আমরা নেই। কোচিং সেন্টারগুলোও বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে মোবাইল ফোন নিতে দেওয়া হয় না। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকদের কাছেও মোবাইল ফোন থাকে না,' বলেন তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, 'এ বছর পাঁচ হাজার ৩৮০টি সরকারি সিট রয়েছে। এবার সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে এক হাজারের বেশি সিট বাড়ানো হয়েছে। বেসরকারিতে আছে ছয় হাজার ৩৪৮ সিট। মোট সিট ১১ হাজার ৭২৮টি রয়েছে। আমাদের আর্মি মেডিকেল কলেজেও ৩৭৫টি সিট রয়েছে। সেখানেও একযোগে পরীক্ষা হয়। গতবার দেড় লাখ পরীক্ষার্থী আবেদন করেছিলেন। এ বছর আশা করি আরও বেশি। তার জন্য আমরা সব প্রস্তুতি গ্রহণ করছি।'

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'বেসরকারি মেডিকেলে অনিয়ম করার খুব একটা সুযোগ নেই। কারণ এখন মেরিট বেজ ভর্তি হয়। আমাদের মন্ত্রণালয়-অধিদপ্তর এ বিষয়ে তদারকি করে থাকে। বেসরকারি মেডিকেলগুলো অনেক মানসম্মত হয়ে গেছে।

'আর যারা ভালো চালায় না, চালাতে পারে না; বিভিন্ন রকমের ঘাটতি রয়েছে আমরা তাদের বারবার তাগিদও দেই—যদি তারা তাদের ঘাটতি পূরণ না করে আমরা তাদের বন্ধ করে দেই। ইতোমধ্যে প্রায় পাঁচ-ছয়টি মেডিকেল কলেজ বন্ধ হয়ে গেছে। প্রাইভেট মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন কোনো আপত্তি জানায়নি। তারাও চায় যে, তাদের সুনাম অক্ষুণ্ন থাকুক,' বলেন জাহিদ মালেক।

কোচিং সেন্টার কত দিন বন্ধ থাকবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আগামী ৯ জানুয়ারি থেকে কোচিং বন্ধ থাকবে। যেহেতু ৯ ফেব্রুয়ারি পরীক্ষা হবে। কাজেই এক মাস আগে বন্ধ করা হবে।'

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'রাজনৈতিক কারণে কোনো মেডিকেল কলেজ তৈরি হয় না। প্রয়োজনে তৈরি হয়। দেশে এখনো অনেক ডাক্তার ঘাটতি রয়েছে। আমাদের দেশে এক লাখ ডাক্তার, প্রয়োজন প্রায় আড়াই লাখ ডাক্তার। নার্সের ঘাটতি রয়েছে এবং তাদের মান উন্নয়ন করা পর্যায়ক্রমে হচ্ছে। রাতারাতি তো কোনো কিছু হয় না। যারা মান ধরে রাখতে পারছে না তাদের কিন্তু আমরা ছেড়ে দিচ্ছি না—তাদের আমরা কঠিন শাস্তি দিচ্ছি। জরিমানা করছি, নোটিশ দিচ্ছি। পরবর্তীকালে তাদের আমরা বন্ধ করেও দিচ্ছি।'

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, 'ভর্তি ফি তো বাড়ানো হয়নি। পাস নম্বরও বাড়ানো হয়নি। যারা দ্বিতীয় বার পরীক্ষা দেবে তাদের ১০ নম্বর কাটা যাবে, এটা আমরা প্রয়োগ করছি। এটা আগে ছিল আট নম্বর, সমতা আনার জন্য আমরা ১০ নম্বর করছি। নতুন পরীক্ষার্থীরা যাতে বঞ্চিত না হয় সে জন্য এ কাজটি করা হয়েছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Admin officers protest plan for more non-admin deputy secretaries

Non-admin officers announce strike tomorrow, demanding exam-based promotions

1h ago