বলপ্রয়োগ বা ফ্রি স্টাইলে নির্বাচনে জয়ী হওয়ার সুযোগ নেই: ওবায়দুল কাদের

ডাঃ ইউনূসের ৬ মাসের জেল
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি

জোটের শরীকদের আপত্তি ও দলীয় প্রার্থীদের অস্বস্তি থাকলেও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, 'শরিকদের আপত্তি থাকলেও নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকবে। স্বতন্ত্র প্রার্থী নিয়ে দলীয় প্রার্থীদের অস্বস্তি অমূলক। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার কোনো বিকল্প নেই। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার কারো সুযোগ নেই।'

সেতুমন্ত্রী আজ মঙ্গলবার দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ বলেন, এখানে স্বস্তি-অস্বস্তির বিষয় নয়, শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন, স্বতন্ত্র থাকবে। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিষয়ে আওয়ামী লীগের অবস্থান স্পষ্ট। তবে কাউকে সহিংসতা করতে দেওয়া হবে না। সে যে দলের প্রার্থীই হোক।

তিনি বলেন, নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হওয়ার কারও সুযোগ নেই। বল প্রয়োগ বা ফ্রি স্টাইলে যাওয়া যাবে না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনাবাহিনীর দায়িত্ব পালন নিয়ে আপত্তি নেই আওয়ামী লীগের। তবে সেনাবাহিনীকে সব বিষয়ে বিতর্কিত করার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ।

সহিংসতা করে, ষড়যন্ত্র করে ও সন্ত্রাস করে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে বানচাল করা যাবে না জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা বলতে চাই সহিংসতা করে, ষড়যন্ত্র করে, সন্ত্রাস করে আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে বানচাল করা যাবে না। বিএনপি যদি মনে করে তারা সন্ত্রাস করবে আর সরকার বসে থাকবে, সেটা তাদের ভুল ধারণা। নির্বাচন কমিশন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সন্ত্রাস-সহিংসতার বিরুদ্ধে শক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।  

ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে উন্নয়ন সমৃদ্ধির পথে অনেক দূর এগিয়ে গেছে। বাংলাদেশের অর্জন আজ আমাদের অহংকার। এই ঈর্ষণীয় অর্জন সারা দুনিয়ার প্রশংসিত হয়েছে। আমাদের দেশে কিছু লোক, কিছু দল আছে যারা দেশের অর্জন-উন্নয়ন প্রশংসা করে না। তারা দেশকে ছোট করার জন্য, খাটো করার জন্য বিদেশিদের কাছে দেশের বদনাম করে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এ জাতির নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হলো বিএনপি-জামায়াত। মানুষকে জিম্মি করে তারা রাজনীতি করে। বিএনপি-জামায়াতের অবরোধ মানেই বাসে আগুন, গুপ্ত হামলা।

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন ও সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English

Disrupting office work: Govt employees can be punished within 8 days

The interim government has moved to amend the Government Service Act-2018 to allow swift disciplinary action against its employees who will be found guilty of disrupting official activities.

8h ago