পেঁয়াজের ৭ ডিসেম্বরের দামকে ভিত্তিমূল্য ধরে ডিসিদের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার নির্দেশ

স্টার ফাইল ফটো

পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে গত ৭ ডিসেম্বর এবং তার আগের দামকে ভিত্তিমূল্য ধরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে পেঁয়াজের বাজার মনিটরিং করতে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) নির্দেশ দিয়েছে সরকার।

পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি ভোক্তা পর্যায়ে এই পণ্যটির দাম ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার স্বার্থে এমন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র।

সূত্রগুলো বলছে, ভারত থেকে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করা হলেও ঠিক এখনই পেঁয়াজের দাম এত বাড়ার কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু এটাকে কেন্দ্র করে এক শ্রেণির ব্যবসায়ীরা যেভাবে বাজার অস্থিতিশীল করেছে, তা সরকারকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা বলে মনে করা হচ্ছে। তাই বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে মাঠ পর্যায়ে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের আমদানিকৃত পেঁয়াজের সিংহভাগই আসে ভারত থেকে। সম্প্রতি ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানি নিয়ন্ত্রণে এর সর্বনিম্ন রপ্তানি মূল্য ৮০০ ডলার পর্যন্ত নির্ধারণ করেছিল। এরপর গত ৭ ডিসেম্বর পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয় ভারত। বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে ভারতের সঙ্গে আলোচনা চলছে। পাশাপাশি অন্য চেষ্টাও চলছে।

এদিকে একাধিক ডিসির সঙ্গে কথা বলে পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা সংক্রান্ত সরকারি নির্দেশের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

এ ব্যাপারে উত্তরবঙ্গের একটি জেলার ডিসি নাম প্রকাশ না করার শর্তে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে নির্দেশনা পেয়েছি। সে অনুযায়ী ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে ব্যবসায়ীদের ভাউচার দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

ঢাকার পাশের একটি জেলার ডিসি বলেন, 'অযথা কাউকে হায়রানি করা হবে না। তবে যারা ক্রয়মূল্যের চেয়ে অস্বাভাবিক বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করবে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।'

প্রতিবেশী দেশ ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপের খবর জানা যায় গত ৭ ডিসেম্বর। এরপর থেকেই বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম রাতারাতি বেড়ে যায়। দেশজুড়ে খুচরা ও পাইকারিতেও দামে উল্লম্ফন হয়।

দাম আরও বাড়তে পারে এমন গুঞ্জনে পেঁয়াজের সরবরাহও কমে আসে পাইকারি ও খুচরা বাজারে। এতে শনিবার সকাল থেকে রান্নার কাজে নিত্য ব্যবহার করা এ পণ্যের দামের কেজি ২০০ টাকা ছাড়িয়ে যায়।

ক্রেতারা জানান, এক দিনের মধ্যে কোথাও কোথাও দাম প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে পেঁয়াজের। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ২২০ টাকা কেজি পর্যন্ত দরে।

আগের দিন শুক্রবারও এ দর ছিল ১১০ থেকে ১২০ টাকার মধ্যে।

Comments

The Daily Star  | English

Has IMF experiment delivered?

Two years after Bangladesh turned to the International Monetary Fund (IMF) for a $4.7 billion bailout to address its worsening macroeconomic pressures, the nation stands at a crossroads.

10h ago