ওয়ার্কশপে হাত হারানো কিশোর বিচার চাইতে হাইকোর্টে

সুপ্রিম কোর্ট

তিন বছর আগে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে একটি ওয়ার্কশপে কাজ করার সময় দুর্ঘটনায় ডান হাত হারায় ১৩ বছরের কিশোর মো. নিয়ামুল হোসেন।

বিচার চাইতে আজ মঙ্গলবার হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে গিয়ে হাজির হয় সে।

এ সময় বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই দুর্ঘটনায় নিয়ামুলের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়ে আগে জারি করা একটি রুলের শুনানি করছিলেন।

মা মনোয়ারা বেগমের সঙ্গে আদালতে এসেছিল কিশোরটি। আদালত তাকে জিজ্ঞাসা করেন, সে পড়াশোনা করে কি না এবং কোথায় এসেছে।

উত্তরে নিয়ামুল জানায়, সে পড়াশোনা করছে এবং বিচার চাইতে আদালতে এসেছে।

বিচারকরা তখন তাকে চকলেট দেন। এ সময় আদালত কক্ষে আবেগঘন পরিবেশ তৈরি হয়।

শুনানি শেষে হাইকোর্ট বেঞ্চ আগামী ১৪ ডিসেম্বর এ রুলের ওপর রায়ের তারিখ ঘোষণা করেন।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিয়ামুলের বাবা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের আড়াইসিধা গ্রামের বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন জুতার ব্যবসা করতেন। ২০২০ সালে করোনা মহামারি শুরু হলে তিনি বেকার হয়ে পড়েন।

পরে নিয়ামুল, তার বাবা ও মার সঙ্গে ভৈরবে ইয়াকুব হোসেনের মালিকানাধীন নূর ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপে কাজ নেয়। 

একদিন নিয়ামুলের ডান হাত একটি মেশিনের ভেতরে ঢুকে যায়। অস্ত্রোপচার করে তার ডান হাত কেটে ফেলতে হয়।

এ ঘটনায় দৈনিক প্রথম আলোতে প্রতিবেদন প্রকাশের পর নিয়ামুলের বাবা পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ পেতে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন।

রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট গত ২৭ ডিসেম্বর নিয়ামুলের পরিবারকে ২ কোটি টাকা দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে একটি রুল জারি করেন।

ওই ওয়ার্কশপ ও সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

পরিবারের অভিযোগ, ওয়ার্কশপ মালিক নাইমুলকে জোর করে ড্রিল মেশিন দিয়ে কাজ করান এবং কাজ করতে গিয়ে সে দুর্ঘটনার শিকার হয়।

রিট আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী অনিক আর হক শুনানি করেন।
 

Comments

The Daily Star  | English

Enforced disappearances: Eight secret detention centres discovered

The commission raised concerns about "attempts to destroy evidence" linked to these secret cells

11m ago