হুইপ সামশুল হকের স্ত্রীর সম্পদ বেড়েছে ৪ গুণ

হুইপ সামশুল হকের নির্বাচনী প্রচারণায় হামলা
সামশুল হক চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী ও তার স্ত্রী কামরুন নাহার চৌধুরীর অস্থাবর সম্পদ গত ৫ বছরে ৪ গুণ বেড়েছে।

কামরুন নাহারের অস্থাবর সম্পদ ৫ বছরের ব্যবধানে ৬৫ লাখ টাকা থেকে সাড়ে ৩ কোটি টাকা হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনে হুইপ সামশুল হকের জমা দেওয়া সম্পদ বিবরণী অনুযায়ী, তার স্ত্রীর বর্তমানে ২ কোটি ৩৩ লাখ টাকার একটি এফডিআর, ৫০ লাখ টাকা সঞ্চয়পত্র, ২টি বেসরকারি কোম্পানির ১২ লাখ টাকা শেয়ার রয়েছে।

অথচ ২০১৮ সালের সম্পদ বিবরণীতে এসব সম্পদের উল্লেখ ছিল না।

এছাড়া, কামরুন নাহার চৌধুরীর নগদ ২৮ লাখ ২৬ হাজার ৯৮৬ টাকা, ব্যাংকে জমা ১০ লাখ ৫৮ হাজার ৮২ টাকা, ডিপিএসে ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা, ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার স্বর্ণ, ১ লাখ টাকার ইলেকট্রনিকস যন্ত্রপাতি, ৬০ টাকার আসবাবপত্র রয়েছে।

স্ত্রীর অস্থাবর সম্পদ কীভাবে এত বেড়েছে, জানতে চাইলে সামশুল হক চৌধুরী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমি গাড়ি বিক্রি করে তাকে ২ কোটি টাকা দিয়েছি। এছাড়া জমিজমা বিক্রি করে তিনি অবশিষ্ট সম্পদ অর্জন করেছেন।'

এদিকে হুইপ হলফনামায় উল্লেখ করেন, তার সম্মানী আয় সবচেয়ে বেশি। বাৎসরিক সম্মানী পান ২৩ লাখ ৬৯ হাজার ১১৮ টাকা।

এছাড়া ব্যবসা থেকে তার আয় ৬ লাখ ৫ লাখ টাকা, বাড়ি-দোকান ভাড়া থেকে ১৩ লাখ ৬৯ হাজার টাকা, ব্যাংক থেকে সুদ ৭ লাখ ৯৬ হাজার ১০৮ টাকা, চাকরির বেতন ১১ লাখ ৪ হাজার টাকা পান তিনি।

যদিও সামশুল হকের বার্ষিক আয় গত ৫ বছরে ২০ লাখ টাকার বেশি কমেছে। একই সময়ে তার অস্থাবর সম্পত্তি ২ কোটি ৯৪ লাখ (বৈদেশিক মুদ্রাসহ) থেকে ৫ কোটি ৫৩ লাখ টাকায় উন্নীত হয়েছে।

স্ত্রীর মতো তিনিও এফডিআর করেছেন প্রায় ২ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। অথচ ২০১৮ সালে তার কোনো এফডিআর ছিল না।

নিজের মালিকানাধীন একটি চারতলা বাণিজ্যিক ভবনের মূল্য মাত্র ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা দেখিয়েছেন সামশুল হক।

আয় কমে গেলেও কীভাবে অস্থাবর সম্পদ বাড়ল, এমন প্রশ্নের জবাবে সামশুল হক চৌধুরী বলেন, 'আমি শুধু একজন আইনপ্রণেতা নই, একজন ব্যবসায়ীও। সুতরাং, আমি বৈধভাবে সম্পদ অর্জন করেছি।'

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তার বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে তিনি সংবাদের শিরোনাম হন। ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের সময় এ বিষয়ে বক্তব্য দিয়ে আরেকদফা আলোচনায় আসেন এই সংসদ সদস্য।

দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) বিভিন্ন ব্যক্তির করা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৯ সালে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছিল সংস্থাটি।

হলফনামায় হুইপ উল্লেখ করেছেন, তার শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিক এবং তিনি কোনো ফৌজদারি মামলার আসামি নন।

Comments

The Daily Star  | English
Tarique Rahman on election demands

Refrain from wrongdoing, Tarique tells BNP men

BNP Acting Chairman Tarique Rahman has urged the party leaders and activists to refrain from wrongdoing, reminding them that people may once again show their strength as they did on August 5 if they make mistakes

1h ago