চট্টগ্রাম-১১ আসনের প্রার্থী এম এ লতিফের আয় কমলেও বেড়েছে সম্পদ

এম এ লতিফ। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও ২০০৮ সালে থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের মনোনয়নে টানা ৩ বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য এম এ লতিফের গত পাঁচ বছরে বার্ষিক আয় কমেছে প্রায় সাড়ে সাত লাখ টাকা, কিন্তু একই সময়ে তার অস্থাবর সম্পত্তি বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি।

রিটার্নিং অফিসারের কাছে জমা দেওয়া হলফনামায় দেখা যায়, ২০১৮ সালে তার বার্ষিক আয় ছিল ৮২ লাখ ৩৭ হাজার টাকা। তবে ২০২৩ সালে তা কমে হয়েছে ৭৪ লাখ ৮২ হাজার ২৮২ টাকা।

আয় কমলেও তার অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। ২০১৮ সালে যেখানে তার অস্থাবর সম্পদ ছিল ২ কোটি ৬৪ লাখ ১০ হাজার ৪৬৫ টাকার, সেখানে ২০২৩ সালে সেই সম্পদ বেড়ে হয়েছে ৫ কোটি ৭২ লাখ ৪৭ হাজার ৭০৬ টাকা।

পাঁচ বছর আগে ২০১৮ সালে তার হাতে নগদ এবং ব্যাংকে জমা ছিল ১ কোটি ৮৬ লাখ ১৬ হাজার ২৩৭ টাকা আর বর্তমানে তার হাতে নগদ রয়েছে ২ কোটি ৩৭ লাখ ৯০ হাজার ৮৬১ টাকা এবং ব্যাংকে জমা আছে ৪২ লাখ ৪২ হাজার ৬২৩ টাকা।

হলফনামায় দেখা যায় ৫ বছর আগে ২০১৮ সালে তার কোনো গাড়ি ছিল না, কিন্তু ২০২৩ সালের হলফনামায় তিনি বলেছেন, তার ৭ লাখ ৫ হাজার ২৫০ টাকা দামের একটি গাড়ি আছে।

লতিফের কাছে বন্ড আছে ৮ লাখ ৪৬ হাজার ৬৫০ টাকার, স্বর্ণ আছে ৪৫ হাজার টাকার, ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী আছে ৭৮ হাজার টাকার এবং আসবাব আছে ২৫ হাজার টাকার।

লতিফ ঋণ প্রদান ও গাড়ি কেনার জন্য অগ্রিম রেখেছেন ২ কোটি ৭৫ লাখ ১৪ হাজার ৩২২ টাকা।

হলফনামায় তার আয়ের উৎস ব্যবসা বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। কৃষি থেকে তার আয় ১৯ লাখ ১৫হাজার ৮৪৭ টাকা, ব্যবসা থেকে আয় ২০ লাখ ৭২ হাজার ৩৪৪ টাকা, সম্মানী ভাতা থেকে আয় ২৫ লাখ ৩৫ হাজার ৩১৫ টাকা, শেয়ার থেকে আয় ২ হাজার ৩৬৫ টাকা এবং পার্টনারশিপ ও অন্যান্য খাত থেকে তিনি আয় দেখিয়েছেন ৯ লাখ ৫৬ হাজার ৪১১ টাকা।

লতিফের স্ত্রীর কাছে নগদ আছে ৫২ লাখ ১৯ হাজার ২৩০ টাকা, ব্যাংকে জমা আছে ৭৮ লাখ ৪৪ হাজার ৪৫৭ টাকা, বন্ড আছে ৪৪ লাখ ৭৩ হাজার ৩২৫ টাকার, স্বর্ণ আছে পাঁচ হাজার টাকার, ইলেক্ট্রনিক সামগ্রি আছে ৮০ হাজার টাকার, আসবাব আছে ৩০ হাজার টাকার। সব মিলিয়ে তার স্ত্রীর সর্বমোট অস্থাবর সম্পত্তি আছে ১ কোটি ৭৬ লাখ ৫২ হাজার ১২ টাকার।

২০১৮ সালের ফলফনামায় লতিফ তার ওপর নির্ভরশীলদের বার্ষিক আয় দেখিয়েছিলেন ১ কোটি ১১ লাখ ৮৪ হাজার ১৩২ টাকা এবং নির্ভরশীলদের অস্থাবর সম্পদ দেখিয়েছিলেন ১ কোটি ৮ লাখ ৩৫ হাজার ২৫০ টাকা। কিন্তু এই বছর তিনি তার হলফনামায় তার ওপর নির্ভরশীলদের আয় বা সম্পদের বিষয়ে কিছুই উল্লেখ করেননি।

জানতে চাইলে লতিফ বলেন, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার কারণে ব্যবসা বাণিজ্যের মন্দাবস্থায় তারও বার্ষিক আয় কমেছে। আয় কমলেও অস্থাবর সম্পদ বাড়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ৫ বছরে তার সম্পদের আর্থিক মূল্য বাড়ার কারণে এই প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

‘Shockingly insufficient’

"The proposed decision to allocate USD 250 billion per year for all developing countries is shockingly insufficient," said the adviser

4h ago