যাত্রী বলছে গাড়ি নাই, পরিবহন শ্রমিক বলছে যাত্রী নাই
অবরোধের অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ দূরপাল্লার বাস চলাচল বেড়েছে। রয়েছে যাত্রীর আনাগোনাও।
আজ সোমবার সকালে সরেজমিনে গাবতলী বাস টার্মিনাল এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী বাসগুলো সায়েদাবাদে যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করছিল। এর মধ্যে দু'একটি টার্মিনালও ছেড়ে গেছে।
তবে দীর্ঘসময় অপেক্ষা করেও বাস পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন যাত্রীরা। অন্যদিকে পরিবহন শ্রমিকরা বলছেন, বাস আছে কিন্তু যাত্রী সংকটের কারণে বাস ছাড়া যাচ্ছে না।
মিরপুর ১১ থেকে সন্তানদের নিয়ে টার্মিনালে অপেক্ষা করছিলেন রোজিনা আক্তার। তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'দুপুর ১২টা থেকে কাউন্টারে বসে আছি। বরিশাল যাব। অনেক কাউন্টার ঘুরেও কোনো বাস পেলাম না। এখন যে কাউন্টারে বসে আছি ওরা বলছে ৩টার দিকে একটা বাস ছাড়লেও ছাড়তে পারে।'
এ বিষয়ে হানিফ পরিবহনের কাউন্টারম্যান মো. শুভ বলেন, 'সকাল থেকে আমাদের ৪টা বাস ছেড়ে গেছে। রাতের দিকেও বাস ছাড়ার ইচ্ছা আছে। কিন্তু যাত্রী নাই। অপেক্ষা করছি। যাত্রী আসলে বাস ছাড়ব।'
যাত্রী সংকটের কথা জানিয়েছেন ঢাকা-চুয়াডাঙ্গা-দর্শনা রুটের ডিডি পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার আবদুল হাইও। তিনি বলেন, 'গতকাল বাস ছাড়তে পারি নাই। সকাল থেকে এখন পর্যন্তও কোনো বাস ছাড়তে পারি নাই। কারণ যাত্রী নাই।'
সামনেই পাওয়া গেল দর্শনার যাত্রী চুন্নু মিয়াকে। তিনি বলেন, 'অনেকক্ষণ ধরে বসে আছি। বাস কখন ছাড়বে কেউ বলতে পারছে না।'
পূর্বাশা পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার মনিরুল ইসলাম বলেন, '২-৩ জন যাত্রী দিয়ে তো বাস ছাড়া যায় না। কমপক্ষে ৩০ জন যাত্রী লাগে। বাস ছাড়ার মতো যাত্রী না হলে সেটাকে যাত্রী নাই-ই ধরে নিতে হয়।'
সকাল থেকেই যাত্রীদের ডাকাডাকি করছিলেন বাস শ্রমিক নুরুল ইসলাম। তিনি বলেন, 'অনেকক্ষণ ধরে ডাকাডাকি করছি। কিন্তু যাত্রী নাই। ২-৩ জন ঘোরাঘুরি করছে কিন্তু এ নিয়ে বাস ছাড়া যায় না।'
বিএনপির ডাকা সপ্তম ধাপের ৪৮ ঘণ্টা অবরোধের আজ দ্বিতীয় দিন চলছে।
Comments