৩৩ একর জমিতে আবাসন প্রকল্প চালানোর স্বাধীনতা আছে আশিয়ান সিটির: সুপ্রিম কোর্ট

সুপ্রিম কোর্ট

রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকায় ৩৩ একর জমিতে আশিয়ান সিটি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের আবাসন প্রকল্প পরিচালনার অনুমতি দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

আপিল বিভাগ আজ বুধবার দেওয়া রায়ে বলেছে, ওই ৩৩ একর জমিতে আশিয়ান সিটি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের প্রকল্প চালিয়ে যাওয়ার স্বাধীনতা রয়েছে।

তবে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ আশিয়ান সিটির প্রকল্পটি বৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল করে দেয়।

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ছয় সদস্যের বেঞ্চ হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সরকার ও আটটি মানবাধিকার সংস্থার করা দুটি আপিল পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করেন।

তবে সুপ্রিম কোর্ট আজ পর্যবেক্ষণগুলো প্রকাশ করেনি। রায়ের পূর্ণাঙ্গ বিবরণী প্রকাশের পর পর্যবেক্ষণগুলো জানা যাবে।

বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন—বিচারপতি বুরহান উদ্দিন, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম। 

মানবাধিকার সংগঠনগুলোর আইনজীবী মিনহাজুল হক চৌধুরী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, আপিল বিভাগের রায়ের পর ঢাকায় ৩৩ একর জমিতে আশিয়ান সিটি তাদের আবাসন প্রকল্প চালাতে পারবে।

রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

আশিয়ান সিটির করা রিভিউ পিটিশনের পর ২০১৬ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্ট তার আগে (২০১৪ সালের ১৬ জানুয়ারি) আশিয়ান সিটি আবাসন প্রকল্পকে অবৈধ ঘোষণা করে দেওয়া রায় বাতিল করেন।

২০১৬ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সরকার, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা), আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক), বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টসহ (ব্লাস্ট) আটটি মানবাধিকার সংগঠন আপিল বিভাগে পৃথক দুটি আপিল দায়ের করে।

আজ আপিল বিভাগ ওই আপিলের ওপর রায় ঘোষণা করেন।

আদালতে মানবাধিকার সংগঠনগুলোর পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ফিদা এম কামাল, প্রবীর নিয়োগী, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ও মিনহাজুল হক চৌধুরী। সরকারের পক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এসকে মো. মোর্শেদ। আর আশিয়ান সিটি পক্ষে থাকা জ্যেষ্ঠ আইনজীবী কামরুল হক সিদ্দিকী ও আহসানুল করিমের সঙ্গে ছিলেন রাগীব রউফ চৌধুরী ও রেদওয়ান আহমেদ রঞ্জিব।
 

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

8h ago