নোয়াখালীতে বিএনপির মিছিলে আ. লীগের হামলার অভিযোগ, আহত ২০

নোয়াখালীর সেনবাগে হরতালের সমর্থনে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলে আওয়ামী লীগ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিএনপির ২০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে ১৬ জন ছররা গুলিবিদ্ধ। ছবি: সংগৃহীত

নোয়াখালীর সেনবাগে হরতালের সমর্থনে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলে আওয়ামী লীগ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় দলের ২০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৬ জন ছররা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানিয়েছে বিএনপি সূত্র।

আজ রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার আজিজপুর পোলের গোঁড়া এলাকার ফেনী-নোয়াখালী মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব আনোয়ার হোসাইন, স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশিদুল ইসলাম, আলাউদ্দিন, মো. মহিন উদ্দিন, মো. সাইফুল ইসলাম, অন্তর, মোহাম্মদ আলম, আবু সুফিয়ান, রুবেল, বাদশা, ইমরান হোসেন, মোশাররফ হোসেন, মনির হোসেন, সিফাত আবুল কাশেম, ইকবাল হোসেন, সবুজ, মো. রুবেল, মো. শফিক, মোজাম্মেল হোসেন ও মো. রাব্বি। 

তারা স্থানীয় বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

সেনবাগ পৌরসভা বিএনপির সদস্য মফিজুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সকালে আমার নেতৃত্বে হরতালের সমর্থনে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি মহাসড়কে ওঠার পর কয়েকশ গজ অতিক্রম করতেই রাস্তার মাথার দিক থেকে কয়েকটি সিএনজি ও মোটরসাইকেলযোগে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের একদল কর্মী আকস্মিক হামলা চালায়। হামলাকারীরা এসময় মিছিল লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছোঁড়ে। এতে কমপক্ষে ২০ জন আহত হন, যাদের মধ্যে ১৬ জন ছররা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।'

বিএনপি সূত্র জানায়, হামলার পর আহত নেতাকর্মীদের স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিক, ফার্মেসি এবং বাড়িতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। পুলিশি হয়রানি এড়াতে বাসাবাড়িতে রেখে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। 

হামলার বিষয়ে কাবিলপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আমিরুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বিএনপির মিছিলে হামলা কিংবা গুলির কোনো ঘটনা আমার জানা নেই।'  

সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দিন ডেইলি স্টারকে জানান, তারা মিছিলে গণ্ডগোলের খবর শুনেছেন ঘটনার অনেক পরে। পুলিশ গিয়ে কাউকে পায়নি। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিএনপির জয়নুল আবেদিন ফারুকের অনুসারী ও কাজী মফিজুল ইসলামের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। হামলা কিংবা গুলির বিষয়ে পুলিশকে কেউ অবহিত করেনি।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে ওসি জানান, সেখানে গুলির ঘটনা ঘটেছে কি না সে বিষয়ে তারা নিশ্চিত নন। আহত কাউকে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে থানায় কেউ কোনো অভিযোগও করেনি।  

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বেগমগঞ্জ সার্কেল) নাজমুল হাসান রাজীব ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সেনবাগের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ মোতায়েন ছিল। কিন্তু গুলির কোনো ঘটনা পুলিশের জানা নেই।'

Comments

The Daily Star  | English

Post-August 5 politics: BNP, Jamaat drifting apart

The taunts and barbs leave little room for doubt that the 33-year-old ties have soured. Since the fall of Sheikh Hasina’s government on August 5, BNP and Jamaat-e-Islami leaders have differed in private and in public on various issues, including reforms and election timeframe.

7h ago