ভেপ নিষিদ্ধের নির্দেশনা চেয়ে আইনজীবীর লিগ্যাল নোটিশ

সাম্প্রতিক সময়ে ভেপের স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়গুলো সবার সামনে আসছে। প্রতিকী ছবি: রয়টার্স
সাম্প্রতিক সময়ে ভেপের স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়গুলো সবার সামনে আসছে। প্রতিকী ছবি: রয়টার্স

বাংলাদেশে ই-সিগারেট বা ভেপের উৎপাদন, মজুত, বিক্রি, আমদানি ও ব্যবহার বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন এক আইনজীবী। 

এই নোটিশে ফেসবুক ও ইউটিউবের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ই-সিগারেটের বিজ্ঞাপন প্রচারেও নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবি জানানো হয়েছে।

ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার হুমায়ূন কবির গত সোমবার ১৩ নভেম্বরের আইন, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ, বাণিজ্য, ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সচিবদের উদ্দেশ্য করে এই নোটিশ পাঠিয়েছেন। পুলিশের মহাপরিচালককেও একই নোটিশ পাঠানো হয়।

নোটিশে সতর্ক করা হয়েছে, সাত দিনের ভেতর এ বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেওয়া না হলে আইন অনুযায়ী উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইতোমধ্যে ভারত, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ডসহ বিশ্বের ৪৭ দেশ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুসরণ করেছে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।  

এই দেশগুলোতে জনস্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির বৈশ্বিক উদ্যোগের অংশ হিসেবে ই-সিগারেট উৎপাদন, বিক্রয়, বাজারজাতকরণ ও ব্যবহারের বিষয়ে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার একটি দোকানে বিভিন্ন ধরনের ভেপ। ছবি: রয়টার্স
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার একটি দোকানে বিভিন্ন ধরনের ভেপ। ছবি: রয়টার্স

'ভেপ' নামেও পরিচিত ই-সিগারেট মূলত ব্যাটারিচালিত একটি যন্ত্র, যা প্রচলিত সিগারেটের অনুকরণে তৈরি।

বিবিসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ই-সিগারেটের ভেতর নিকোটিন, প্রোপাইলিন গ্লাইকল অথবা ভেজিটেবল গ্লিসারিন এবং সুগন্ধি মিশ্রিত থাকে। এই নিকোটিনের তরল দ্রবণকে প্রচলিত ভাষায় ই-লিকুইড বা ভেপ জুস বলা হয়।

এই নিকোটিনের দ্রবণটিকে ব্যাটারির মাধ্যমে গরম করা হয়। এর ফলে ধোঁয়া তৈরি হয়। এটি মস্তিষ্কে ধূমপানের মতো অনুভূতির সৃষ্টি করে।

গত বেশ কয়েক বছর ধরে সারা বিশ্বে ইলেকট্রনিক সিগারেটের প্রচলন বাড়লেও সাম্প্রতিক সময় এর স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়গুলো সবার সামনে আসছে।

ইংরেজি থেকে ভাবানুবাদ করেছেন মাহমুদ নেওয়াজ জয়

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

1h ago