আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩

সম্মিলিত অবদানে ইংল্যান্ডকে ২৮৭ রানের লক্ষ্য দিল অস্ট্রেলিয়া

অস্ট্রেলিয়ার বেশ কয়েকজন ব্যাটার ভালো শুরু পেলেন, কয়েকটি ভালো জুটির দেখাও মিলল। যদিও ইংল্যান্ডের বোলারদের নিয়মিত ব্রেকথ্রুতে কোনোটিই বড় হলো না।

সম্মিলিত অবদানে ইংল্যান্ডকে ২৮৭ রানের লক্ষ্য দিল অস্ট্রেলিয়া

সম্মিলিত অবদানে ইংল্যান্ডকে ২৮৭ রানের লক্ষ্য দিল অস্ট্রেলিয়া
ছবি: এএফপি

অস্ট্রেলিয়ার বেশ কয়েকজন ব্যাটার ভালো শুরু পেলেন, কয়েকটি ভালো জুটির দেখাও মিলল। যদিও ইংল্যান্ডের বোলারদের নিয়মিত ব্রেকথ্রুতে কোনোটিই বড় হলো না। শেষমেশ ৩ বল বাকি থাকতেই অজিরা অলআউট হলো। মারনাস লাবুশেন ফিফটি পেলেও ক্যামেরন গ্রিন ও স্টিভেন স্মিথ আক্ষেপে পুড়লেন। তারপরও ইংলিশদের ২৮৭ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দিল রেকর্ড পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।

শনিবার আহমেদাবাদে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামে অস্ট্রেলিয়া। ৪৯.৩ ওভারে গুটিয়ে যাওয়ার আগে ব্যাটারদের সম্মিলিত অবদানে ২৮৬ রানের লড়াকু পুঁজি পেয়েছে তারা।

বোলিং নেওয়া ইংল্যান্ড দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট তুলে নেয়। ভয়ঙ্কর ট্রাভিস হেডকে ফিরে যেতে হয় ১১ রান করেই। স্লিপে ক্যাচ বানিয়ে হেডকে ফেরানোর পর তার বিপজ্জনক সঙ্গীকেও ফিরিয়ে দেন ক্রিস ওকস। দুর্দান্তভাবে কাটারে ধোঁকা দিয়ে ডেভিড ওয়ার্নারকেও ক্যাচে পরিণত করেন। ১৫ রান করে ওয়ার্নার ফেরেন যখন, অস্ট্রেলিয়ার রান তখন ৩৮। বিধ্বংসী দুই ওপেনারকে হারিয়ে সতর্কভাবে খেলতে থাকে দলটি। পাওয়ার প্লে শেষ করে ৪৮ রানে। 

একপাশে স্মিথ স্বস্তিতে খেলে গেলেও লাবুশেন ভোগান্তিতে পড়ে যান। স্ট্রাইক বদল করতে ব্যর্থ হয়ে ধীরগতিতে শুরু করেন লাবুশেন। ডানহাতি এই ব্যাটার প্রথম ৩০ বলে আনতে পারেন মাত্র ১৩ রান। এরপর তার ইনিংসের গতি বাড়ান যদিও। ২০তম ওভারেই একশ পেরিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। তখনও আদিল রশিদকে আক্রমণে আনেনি ইংল্যান্ড। লেগ স্পিনার রশিদ এসেই ভেঙে দেন স্মিথ-লাবুশেনের ৯৬ বলে ৭৫ রানের জুটি।

স্মিথের ৫২ বলে ৩ চারে ৪৪ রানের ইনিংস থেমে যায় কাট খেলতে গিয়ে পয়েন্টে ধরা পড়ে। স্মিথ ফেরার ৪ রানের মধ্যেই আরেকটি উইকেট হারিয়ে বসে অজিরা। জশ ইংলিসও রশিদের বলে পয়েন্টে ক্যাচ তুলে দেন রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে। 

ততক্ষণে সেট হয়ে যাওয়া লাবুশেন দায়িত্ব সহকারে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন অস্ট্রেলিয়াকে। ৬৩ বলে নিজের ফিফটি পেয়ে যান তিনি। গ্রিন এসেও ভালো শুরু করেন। দুজনের জুটি পঞ্চাশের ঘরে পৌছে যায় ৫৩ বলে। কিন্তু তাদের সে জুটি বড় হুমকি হওয়ার আগেই থামায় ইংল্যান্ড।

গতিময় পেসার মার্ক উড এসে লাবুশেনকে এলবিডব্লিউয়ে শিকার করলে ৬১ রানের বড় হয়নি অজিদের পঞ্চম জুটি। ৮৩ বলে ৭ চারে ৭১ রানের ইনিংস খেলে বিদায় ঘটে লাবুশেনের। একাদশে ফেরা দুই ব্যাটার গ্রিন ও মার্কাস স্টয়নিস মিলে এরপর বিপদ বাড়তে দেননি। দুজনের ব্যাটে ৩৭ ওভারেই দলীয় দুইশ স্পর্শ করে অস্ট্রেলিয়া।

তাদের জুটিটাও ইংলিশদের জন্য মাথাব্যথার কারণ হওয়ার আগে থেমে যায়, ডেভিড উইলির বলে গ্রিন বোল্ড হয়ে গেলে। ৫ চারে ৫২ বলে ৪৭ রানে আউট হয়ে ফিফটি মিস করেন গ্রিন। 

স্টয়নিস তার পেশির জোর দেখান একপাশে থেকে। ৪৪তম ওভারে লিয়াম লিভিংস্টোনকে ছক্কার পর মারেন চার। আবার ছক্কা মারতে গেলে কাটা পড়েন মিডউইকেটে। ঝড়ের আভাস দিয়ে ৩২ বলে ৩ ছক্কা ও ২ চার মেরে আউট হন ৩৫ রান করে। ২৪১ রানে সপ্তম উইকেট হারানো অজিরা এরপর দ্রুতই হারায় অধিনায়ক প্যাট কামিন্সকে।

তবে ইংল্যান্ডকে হতাশ করে অপ্রত্যাশিতভাবে নবম উইকেট জুটিতে ২৯ বলে ৩৮ রানের জুটি পেয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। অ্যাডাম জ্যাম্পা খেলেন ১৯ বলে চারটি চারে ২৯ রানের ক্যামিও। শেষ ওভারে জ্যাম্পার পর মিচেল স্টার্ককেও আউট করে দেন ওকস।

৫৪ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডের হয়ে সেরা বোলিং পারফরম্যান্স দেখান ওকস। সঙ্গে রশিদ ও উড পান দুটি করে উইকেট। মঈন আলী কোনো উইকেট না পেলেও উইলি ও লিভিংস্টোনের ঝুলিতে যায় একটি করে উইকেট। বোলারদের সম্মিলিত ভূমিকায় প্রতিপক্ষকে অলআউট করে দিলেও তিনশর কাছাকাছি রানই তাড়া করতে হবে ইংল্যান্ডকে।

Comments

The Daily Star  | English
political reform in Bangladesh

Pathways to a new political order

The prospects for change are not without hope in Bangladesh.

11h ago