নোয়াখালীতে যুবলীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধসহ আহত ৬
নোয়াখালী সদর উপজেলায় স্থানীয় যুবলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে গুলিবিদ্ধসহ ৬ জন আহত হয়েছে।
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার নোয়ান্নই ইউনিয়নে বাধেরহাট কলেজ গেইট এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে গুরুতর আহত যুবলীগ নেতা আশরাফুল করিম বাবু (৩৮), গুলিবিদ্ধ মো. মাসুম (২৩) ও মো. রিপনকে (৩৮) উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় নোয়ান্নই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দিলদার হোসেন জুনায়েদের অনুসারী ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা মো. রিপনের সঙ্গে আশরাফুল করিম বাবুর বিরোধ চলে আসছে।
এ বিরোধের জেরে বৃহস্পতিবার দুপুরে বাধেরহাট কলেজ গেইট এলাকায় দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েক রাউন্ড গোলাগুলি হয়। এতে তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়।
জানতে চাইলে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার সৈয়দ মহিউদ্দিন আব্দুল আজিম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আহত ৬ জনকে হাসপাতালে আনা হয়। গুলিবিদ্ধ মাসুমসহ আহত ৩ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।'
যোগাযোগ করা হলে নোয়ান্নই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দিলদার হোসেন জুনায়েদ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সংঘর্ষের খবরটি আমি শুনেছি। তবে ওই সময় আমি এলাকায় ছিলাম না।'
জানতে চাইলে নোয়াখালী জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ইমন ভট্ট ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় যুবলীগের বাবু ও রিপন গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে তিনজন গুলিবিদ্ধসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।'
'আহতরা সুস্থ হলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে,' বলেন তিনি।
জানতে চাইলে ওসি মীর জাহেদুল হক রনি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গত ইউপি নির্বাচনের বিরোধকে কেন্দ্র করে চেয়ারম্যানের অনুসারী রিপন ও চেয়ারম্যানের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের জেরে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষ গোলাগুলি করেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
Comments